কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: দ্বিতীয় দফায় আজ ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত কুলিয়ারচর পৌরসভা নির্বাচনে, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া, কেন্দ্রে প্রবেশে বাঁধা দেওয়া ও ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের ফিংগ্রার নেওয়ার পর নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করা সহ নানান অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নূরুল মিল্লাত।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভোট গ্রহণ চলাকালে উপজেলার বেতিয়ারকান্দি গ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই ঘোষণা দেন মেয়র প্রার্থী নূরুল মিল্লাত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি মোঃ শরীফুল আলম বলেন, নির্ধারিত সময়ে সুষ্টু ভাবে নির্বাচন শুরু করলেও সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে কুলিয়ারচর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে বিএনপি’র এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয় আওয়ামী লীগ সমর্থীত এজেন্ট ও সমর্থকরা। জেলা বিএনপি’র সভাপতি মোঃ শরীফুল আলম আরও বলেন, এ সময় বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীকে কুলিয়ারচর থানার এস আই মুহাম্মদ আজিজুল হক লাঞ্চিত করেন। ওই এসআই দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর যাবৎ একই থানায় কর্মরত আছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রচার প্রচারণা চালানোর সময় ওই এসআই আমাকেও শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করেন। একই ভাবে ৯নং ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রে পুলিশ দাড়িয়ে থাকলেও প্রশাসন কোন ভূমিকা ই পালন করে নি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রশাসনকে ব্যবহার করে নির্লজ্জ ও নির্ধয় ভাবে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করাতে অপপ্রয়াস চালায়।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কুলিয়ারচর সরকারি কলেজ কেন্দ্রের ভোটার মমতাজ বেগম অভিযোগ করে বলেন, সুজন নামের একজন ব্যক্তি আমাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। কুলিয়ারচর ডিগ্রি কলেজের বিএনপি’র এজেন্ট নূরুল ও জুয়েল ৯নং ওয়ার্ডের পালটিয়া মাসকান্দি কেন্দ্রে সুহেল, সজিব, মোবারক, কাউসার, হান্নান, জিয়া ও শাজাহান অভিযোগ করে বলেন, আমাদেরকে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় আওয়ামী লীগ সমর্থীত এজেন্ট ও সমর্থকরা।