নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 
বর্তমানে আমেরিকা চীনকে মোকাবিলা করার জন্য ভারতে সৈন্য মোতায়েন করার ইচ্ছা প্রকাশ করছে । রুশ ও চৈনিক শক্তির পর ভারত শক্তির উদ্ভব হোক তা যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়ার কথা নয়।এতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি। তাহলে কেন যুক্তরাষ্ট্র এমনটা চাইবে?স্বভাবতই পরিলক্ষিত হয় শান্তি সমঝোতা যুক্তরাষ্ট্রের আসল উদ্দেশ্য নয়।যার অর্থনীতি অস্ত্র ব্যবসার উপর বড় আকারে নির্ভরশীল তার মুখে শান্তি সমঝোতা  আর ভূতের মুখে রাম নাম একই বিষয়।ধরে নেয়া যেতে পারে বিশ্ব শাসনের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই উপমহাদেশের ব্যবসা, অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণই যুক্তরাষ্ট্রের আসল উদ্দেশ্য। আমেরিকা যদি শর্ত সাপেক্ষে ভারতে সৈন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করে তবে অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোকে নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য বড় রাজনৈতিক লড়াইয়ে আসীন হতে হবে।বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম না।এর কার্যক্রম হিসেবে বাংলাদেশ কি কি ব্যবস্থা নিতে পারে তা নিম্নে আলোচনা করা হলঃ
১) বাংলাদেশ সরকার চীনকে অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক দিয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।এর মাধ্যমে বাংলাদেশের উচিত চীনের মাধ্যমে বৃহৎ সামরিক শক্তিতে বলীয়ান হওয়া।উল্লেখ্য যে,বাংলাদেশের শক্তি বৃদ্ধি ভূরাজনৈতিক কারণে চীনের জন্যও প্রয়োজন।চীনের লিবারেশন আর্মির সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গভীর সম্পর্ক তৈরি করা।
২) নিজের রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক ও সামরিক কৌশল এমনভাবে নেয়া, যেন বাংলাদেশের ক্ষতি চীনের ক্ষতির সমার্থকরূপ লাভ করে।কারণ, চীনের ” ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড” পলিসির স্ট্রাটেজিক পার্টনার হলো বাংলাদেশ। চীন সহসা বাংলাদেশকে নিজেদের বিপরীতে দেখতে চাইবে না।
৩)উপমহাদেশের অন্যান্য ছোট রাষ্ট্র নেপাল,ভূটান,শ্রীলঙ্কার সাথে গভীর সম্পর্কে উপনিত হওয়া।এতে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার অংশ হিসেবে কাজে লাগানো।
৪)উপমহাদেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া, ইরান ও তুরস্কের মেকাবিলা করছে।রাজনৈতিক ভাবে তাদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করা।
৫) বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিবাদ মেটানো।কারণ, এর কারণে একটি দেশ তথা জাতি ধ্বংস হয়ে যায়। যার অসংখ্য ঘটনা ইতিহাসের পাতায় আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল।।