কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদীতে মারামারি মামলার আসামি স্বামীকে না পেয়ে, আাসামির স্ত্রী আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী মোছাঃ সালমা আনিকার গাড়ি জব্দ করেছে কটিয়াদীতে থানা পুলিশ। থানায় নিয়ে গাড়ি তল্লাসি করে আমেরিকার তৈরি একে ২২ একটি রাইফেল, ১৮ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন জব্দ করা হয়েছে।
এ সময় সালমা আনিকাকে অস্ত্রের লাইসেন্স দেখাতে বললে তিনি তার স্বামী তারিকুল মুশতাক রানার নামে ইস্যুকৃত অস্ত্রের লাইসেন্স ওসি এম,এ জলিলের হাতে তুলে দেন।
তারিকুল মুশতাক রানা কটিয়াদী উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি এবং কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশতাকুর রহমানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মারামারির ঘটনায় কটিয়াদী মডেল থানায় একটি মামলা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও কটিয়াদীতে অন্তত এক ডজন প্রার্থী মাঠে নেমেছেন । তাদের মধ্যে অন্যতম একমাত্র নারী প্রার্থী সালমা আনিকা।
শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকালে তিনি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কমরভোগ এলাকায় তার নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। প্রচারণার শেষ পর্যায়ে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সালমা আনিকার স্বামী মারামারি মামলার আসামি তারিকুল মুশতাক রানা আত্মগোপনে চলে যান।
আসামিকে ধরতে না পেরে পুলিশ তার স্ত্রী মেয়র প্রার্থী মোছাঃ সালমা আনিকার গাড়ি থানায় নিয়ে যেতে চাইলে সালমা নিজেও থানায় যান।
মোছাঃ সালমা আনিকা অভিযোগ করে বলেন, গাড়িটি আমার নামে রেজিস্ট্রেশন করা। যার রেজিঃ নং- ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৪-০৩৮২। সকল কাগজপত্র দেখানোর পরও গাড়িটি ছেড়ে না দিয়ে থানায় জব্দ করে রাখা হয়েছে। আমার নির্বাচনী কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টির জন্য আমার গাড়িটি জব্দ করে রাখা হয়েছে।
অস্ত্রের বিষয়ে সালমা আনিকা বলেন, আমাদের নিরাপত্তার জন্যই লাইসেন্সকৃত অস্ত্রটি সাথে ছিল।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এম,এ জলিল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু আসামি পালিয়ে যায়। তার ব্যবহৃত গাড়ি আটক করি। তল্লাসি করে গাড়িতে একটি রাইফেল, ১৮ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন পাওয়া যায়। অস্ত্রটি লাইসেন্স করা।
লাইসেন্স এ অস্ত্রের সাথে একশত গুলির বিষয় উল্লেখ আছে। বাকি গুলি কোথায় কি অবস্থায় আছে অনুসন্ধানের পর এবং লাইসেন্স যাচাই-বাছাই শেষে জব্দকৃত অস্ত্রটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান পুলিশ।