নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  আন্তর্জাতিক অাসরে সামরিক লড়াইয়ের খবরে বাংলাদেশের জনগণ সর্বদা অালাদা নজর রাখতে পছন্দ করে।অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোর কি কি উন্নত যুদ্ধ সরঞ্জাম রয়েছে তা নিয়েও প্রায় সকল বাংলাদেশীই কম বেশি জানে।কিন্ত, নিজেদের ব্যাপারে অামরা সর্বদাই উদাসীন।অামরা অামাদের নিজেদের সক্ষমতাকে নিয়ে কখনো ভাবি না।সামরিক ক্ষেত্রে অনেকেরই ধারণা বাংলাদেশের তেমন কোনো অাধুনিক যুদ্ধসরঞ্জাম নেই। যারা বাংলাদেশের সামরিক বিষয়ে কর্ণপাত করেন তারা সহজেই উপলব্ধি করতে পারবেন এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।ইদানীং, যুদ্ধ বিমানের ক্ষেত্রে   রাফায়েল, ইউরো টাইফুন বা জে২০ নিয়ে ব্যাপক হইচই চলছে।কিন্তু বাংলাদেশের কাছেও যে ফোর প্লাস জেনারেশানের যুদ্ধবিমান রয়েছে তা নিয়ে কতোজন ভাবে।
চলুন দেখা যাক বাংলাদেশের বহরে থাকা  রাশিয়ায় প্রস্তুতকৃত ফোর প্লাস জেনারেশানের  YAK – 130 যুদ্ধবিমানের   সক্ষমতা।
YAK – 130 হলো একটি ডিজিটালাইজ্ড লাইট এয়ার কমব্যাট। এই বিমানের পাইলট নিজেকে একজন ফোর প্লাস জেনারেশানের সম্পূর্ণ অভ্যস্ত  এবং ফাইভ জেনারেশন  এর  পাইলট হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে।এই যুদ্ধ বিমানটি অাকাশ হতে অাকাশে এবং অাকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপণযোগ্য যুদ্ধাস্ত্র বহন করে থাকে।এর সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ৯৬০ কিলোমিটার।এতে রয়েছে দুটি ইন্জিন। এটি ভূমি থেকে সর্বোচ্চ ১২.৫ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠতে সক্ষম।এই বিমানটির বিশেষ একটি দিক হলো খুব দ্রুত অাকাশে অারোহণ করতে পারে।সেকেন্ডে ৬৫ মিটার উচ্চতায় অাহোরণ করে ইন্টারসেপশনের জন্য যে কোনো শত্রু বিমানকে ধ্বংস করতে সক্ষম। এছাড়াও, বিমানটিতে রয়েছে অটোপাইলট সিস্টেম, কম্পিউটার ডিসপ্লে ইউনিট। এই বিমানটিতে কোনো এনালগ সিস্টেম নেই। বিমানটিতে পাইলট তার সুবিধামতো যেকোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারে সেই প্রযুক্তিও সংযোজন করা থাকে।।