কাপ্তাই( রাঙ্গামাটি)প্রতিনিধি:এশিয়ার বৃহত্তম রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই হ্রদে সরকারী নির্দেমনা মোতাবেক মে-জুলাই মাস পর্যন্ত মৎস্য আহরণ বন্ধ ছিল।অবশেষে গত ১০ আগষ্ট ২০২০ইং কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা তোলে নেয়।প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে মৎস্য পেশার সাথে সংশ্লিষ্টদের মাঝে।
দূর্ভাগ্যজনকভাবে গত ২৭ আগষ্ট ২০২০ইং(বৃহস্পতিবার) পার্বত্য এলাকার সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দাবীকৃত চাঁদা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি মাছ আহরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির জনৈক নেতার বিবৃতিতে জানা যায়,পার্বত্য সশস্ত্র সংগঠন তথা সন্ত্রাসীদের দাবীকৃত চাঁদা পরিশোধের সময়সীমা শেষ হয় গত ২৬ আগষ্ট(বুধবার)২০২০ ইং।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাঝি জানান,যথাসময়ে চাঁদা পরিশোধে ব্যর্থতাহেতু মৎস্য আহরণে সংশ্লিষ্ট জেলেদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাছ ধরতে নিষেধ করে।তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ আগষ্ট(বৃহস্পতিবার)২০২০ইং মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি মাছ আহরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
এ ঘটনায় এই পেশায় সংশ্লিষ্ট হাজারো মানুষ কর্ম হারানোর আশংকায় শঙ্কিত।কয়েকজন মৎস্য শ্রমিক জানান,লক ডাউনের প্রভাবে কষ্টে কেটেছে তাদের জীবন।এমতাবস্থায় সৃষ্ট সংকটে মৎস্য আহরণ বন্ধ।ক্ষতির আশংকায় প্রহর গুনছে মৎস্য আহরনে সংশ্লিষ্ট খুচরা ও পাইকারী মৎস্য ব্যবসায়ী,মাঝি,শ্রমিকসহ নানা পেশার মানুষ।প্রতিদিনের চিরচেনা কাপ্তাই জেটিঘাটে মৎস্য ব্যবসায়ী তথা মৎস্যজীবিদের সেই কোলাহল যেন নেই,আছে শুধু নিস্তব্ধ নিরবতা।
উল্লেখ্য যে,মৎস্য ব্যবসায়ী নেতা মোঃ জসমি উদ্দীন জানান,কাপ্তাই হ্রদের মাছ চট্টগ্রাম,যাত্রাবাড়ি,ঢাকাসহ দেশেরবাইরে সরবরাহ করা হয়।প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিদার যোগান পাওয়া যায় এই মৎস্য দ্বারা।তাইতো সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মৎস্য আহরণ পেশায় সংশ্লিষ্টরা কর্ম হারানোর শঙ্কায় শঙ্কিত।