কাশ্মীর সমস্যা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় কি না, তা আপাতত তাদের জিম্মায় ছেড়ে বাংলাদেশের দিকে একটু নজর দেয়াা যাক।কোনো অঞ্চলে জাতীয় সমস্যা দেখা দিলে তার প্রভাব আশেপাশের স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোতে পরবে এ এক চরম বাস্তবতা। কাশ্মীরের ন্যায় ভারতের আরো কিছু রাজ্য যারা কিনা সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান, তারা এখন আতঙ্কিত।কারণ, তারাও কিছু আলাদা সুযোগ সুবিধা ভোগ করতো।তা আর কতদিন থাকবে এ বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন। ফলে,ভারতের এই রাজ্যগুলোতেও পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।আশঙ্কার বিষয় এইসব রাজ্যগুলো বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের খুব কাছাকাছি।পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের খুব স্পর্শ কাতর অঞ্চল। এলাকাটা আলাদা করার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র তৎপর।যার ফল পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সাথে সরকারের দূরত্ব।তা বর্তমানে শান্তিচুক্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যম্যে স্থিতিশীল।ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য, ভারতের এবং বাংলাদেশের উপজাতি নিয়ে আলাদা অমুসলিম স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন।স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে সশস্ত্র বাহিনী সংগ্রাম করে যাচ্ছে এর অখন্ডতা রক্ষা করার জন্য।বিশেষ করে ১৯৯৭ সালের সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নিয়েছেন কিন্তু পার্বত্যচট্টগ্রামে ঘাম ফালায় নি রক্ত ঝরায় নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ফলে,সেখানকার সুবিধাবাদী সংগঠনগুলো আন্তর্জাতিক মদদে আলাদা হওয়ার জন্য সুযোগ নিতে পারবে। দেখা গেল জাতিসংঘ ইউরোপীয়ান দেশগুলোর উদ্দেশ্য হাসিল করতে উপজাতি অধিকার বিষয়ক এমন কিছু আইন প্রণয়ন করেছে যার ফলে দেশের সাধারণ জনগণের সাথে উপজাতিরা কখনো মিলে যেতে না পারে।কারণ, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য সাধারণ জনগণের সাথে উপজাতিরা আলাদা থাকা দরকার।বাংলাদেশে উপজাতিরা কখনো বৈষম্যের স্বীকার হয় নি।তাদের জন্য বর্তমান সরকারী চাকরিতে কোঠা সংরক্ষণ করা পর্যন্ত হয়।যা বিচ্ছিন্ন ভাবে এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাদের উপর অত্যাচার হয়েছে তাকে পুঁজি করেই চলছে ষড়যন্ত্র। ফলে,বোঝা যায় এখানে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিষয় বড় ভাবে জড়িত।কাজেই,বাংলাদেশের প্রশাসন নিজেদের স্বার্থের ব্যাপার মাথায় রেখেই ভিন্ন দেশের অস্থিতিশীল অবস্থার বিষয়ে পক্ষপাত গ্রহন করবে ।পার্বত্য চট্টগ্রামে যেন বাংলাদেশের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে এসেছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জনগণ রোহিঙ্গারা। এছাড়াও,বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমান সময়ে বড়সড় ষড়যন্ত্র চলছে দেশের সার্বভৌমত্ব হরনকারী। বাংলাদেশের একাধিক ব্যক্তিবর্গ ও সংগঠন এর সাথে জড়িত।তারা বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং মানবতার দোহাই দিয়ে তাদের চক্রান্ত সফল করতে তৎপর। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশের প্রশাসনের উচিত হবে প্রয়োজনীয় এবং সময় উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা কেননা মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে অন্য দেশের কাছে সার্বভৌমত্ব বিলিয়ে দেয়ার জন্য নয়।