কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে হঠাৎ করেই দাম বেড়েছে পিয়াজের
মোঃ আলী সোহেল, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে পিয়াজের দাম। ৪ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। পিয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গত ৪ দিন আগেও কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন খুচরা বাজারে পিয়াজ বিক্রি হতো প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। আর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হতো ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। গত শুক্রবার থেকে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে পিয়াজের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে।
মঙ্গলবার জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে প্রতি কেজি পিয়াজ ২০ টাকা করে বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়। হঠাৎ করে কেজিতে ২০ থেকে ২২ টাকা বেড়ে যাওযার তেমন কোনো কারণ জানাতে পারেনি খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
ব্যাবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, অন্য দিনের তুলনায় বাজারে পিয়াজের আমদানি কম। গত সপ্তাহে যে পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়, সেই পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়।
খুচরা ব্যবসায়ী উমর ফারুক জানান, ৪ দিন ধরে পিয়াজের দাম বাড়তির দিকে। আড়ত থেকে পাইকারিভাবে গত কয়েকদিন আগে যে পিয়াজ কিনেছেন প্রতিমণ ১১২০ থেকে ১১৪০ টাকা দরে। সেই একই পিয়াজ কিনতে হয়েছে প্রতিমণ ১৬০০ টাকা করে। তাছাড়া পরিবহন খরচ ও ঘাটতি পূরণে ৬০ টাকার কমে বিক্রি করলে আমাদের কোনো লাভ হবে না।
কটিয়াদী বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মোঃ এমরান মিয়া জানান, হঠাৎ করে পিয়াজের বাজারে কি কারণে অস্থিরতা বিরাজ করছে, তা বলতে পারছি না। বেশি দামে পিয়াজ কিনতে হচ্ছে বলে বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।তাছাড়া অনেক বড় ব্যাবসায়ীরা পিয়াজের মজুদ রাখার কারণেই হয়তো বাজারে অস্থিরিতা বেড়েছে।
পিয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। ক্রেতাদের দাবি, ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায়, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পিয়াজ মজুদ রেখে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের প্রতি বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান ক্রেতারা।