মোঃ আলী সোহেল, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
সামাজিক যোহাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকের পোস্টের কল্যাণে তাদের নিখোঁজ মা’কে ফিরে পেলো সন্তানরা। মিরপুর থেকে নিখোঁজ হন মানসিক ভারসাম্যহীন মা অজুফা বেগম। নিখোঁজের ৩০ মাস পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিখোঁজ মায়ের সন্ধান পায় পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার চর বেতাল গ্রামে। ঢাকা সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আরিফুর রহমানের ভাইরাল করা পোস্টের কল্যাণে তাদের নিখোঁজ মা’কে ফিরে পান সন্তানেরা।
জানা যায়, আড়াই বছর আগে ঢাকার মিরপুরে ছেলেদের নিকট থাকাবস্থায় নিখোঁজ হন মানসিক ভারসাম্যহীন মা অজুফা বেগম। নিখোঁজের পর অনেক খোঁজাখুজি করেও মায়ের সন্ধান পায়নি ছেলে দুলাল মিয়া। এভাবেই চলে যায় আড়াই বছর। গত ২১ নভেম্বর আলী হায়দার মল্লিক নামের এক এনজিও কর্মী ও সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আরিফুর রহমানের সাথে কথা হয়। পরে উক্ত ব্যাপারে যোগাযোগ করে তিনি উদ্ধারকৃত বৃদ্ধার একটি ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করতেই বিষয়টি সামাজিক যোহাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে এই ভিডিও’র সূত্র ধরে ফাতেমা বেগমের ঠিকানা খোঁজে পায় আরিফুর। পরে নিখোঁজের বড় ছেলে দুলাল ও তার বোন লঞ্চ যোগে ২৩ নভেম্বর নেছারাবাদের বিন্না গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন পরিবার।
নিখোঁজ বৃদ্ধার বড় ছেলে দুলাল মিয়া ও বোন নাজমা বেগম জানায়, গত বুধবার সকালে পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ থানা বলদিয়া ইউনিয়নের বিন্না গ্রামে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল বাহাদুরের আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় মায়ের সন্ধান মিলে। মানসিক ভারসাম্যহীন মাকে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন সন্তানেরা। এমন দৃশ্য দেখে উপস্থিত শতাধিক নারী-পুরুষের চোখের পানি চলে আসে। তারা আরও বলেন, আমরা সবসময় বলতাম একদিন আমার মা ফিরে আসবে। আল্লাহ আমাদের ডাক কবুল করেছেন। আমরা আমার মাকে এডভোকেট আরিফ স্যারের কল্যাণে ফিরে পেয়েছি। আমরা সত্যিই আবেগে আপ্লুত। আইনজীবী আরিফুর ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। মহান আল্লাহ’র কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করছি।
এডভোকেট আরিফুুর রহমান জানান, ফেসবুক স্ট্যাটাসের পরে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে বৃদ্ধার ছেলে ও মেয়ে তাদের মাকে ফিরে পায়। এই কাজটি করতে পেরে আমার অনেক আনন্দ লাগছে। আমি আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাপক পরিসরে প্রাপ্তি স্বীকার নিউজটি প্রচার করি। অবশেষে আল্লাহ আমার মনের ইচ্ছা পূরণ করেছেন।