মোঃ আলী সোহেল, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ১ নং গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের শ্বশানীপাড়া থেকে উত্তর গোবরিয়া পাকা রাস্তা পর্যন্ত কাচা রাস্তাটি, অনেক প্রতিশ্রুতির পরেও পাকাকরণ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। এবং বিভিন্ন সময়ে প্রতিশ্রুতি দানকারী ব্যাক্তিদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এলাকাবাসী তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, নির্বাচনে নৌকা পাস করলো, আবার নির্বাচন চলেও এলো, রাস্তা আর পাকাকরণ করা হলোনা। এখন জনদুর্ভোগ চরমে।
এভাবেই মনের দুঃখ ব্যক্ত করলেন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের শশ্বানীপাড়া গ্রামের অসহায় মানুষ।
জানা যায়, কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর টু পিরিজপুর পাকা রাস্তার শ্বশানীপাড়া থেকে উত্তর গোবরিয়া পাকা রাস্তা পর্যন্ত রাস্তাটি গোবরিয়ার প্রথম প্রাচীনতম কাঁচা রাস্তা। এ রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ৮২৩ মিটার, যাহার কোড নাম্বার-৩৪৮৫৪৫০৫৫। শ্বশানীপাড়া থেকে গোবরিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, গোবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কৃষকের বিশ থেকে ত্রিশ লক্ষ টাকার কাঁচমাল বাজারজাত করা হয় পার্শ্ববর্তী পিরিজপুর বাজারে। এ রাস্তাটি পাকা হলে কৃষি শিল্পে আরও উৎপাদন বাড়বে । এই গ্রামে রয়েছে তিনটি মসজিদ, দুইটি নূরানী মাদ্রাসা, একটি প্রাক-প্রাথমিক স্কুল, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক। এই রাস্তার দুই প্রান্তে রয়েছে দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দীর্ঘ দিন যাবৎ ধরে সামান্য বৃষ্টি হলেই এ রাস্তায় বড় বড় গর্ত, কাঁদা ও পানির জলাবদ্ধতার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজে যাতায়াতে চরম বিপর্যয় নেমে আসে।
এছাড়াও এই রাস্তা দিয়ে অসুস্থ, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী মায়েরা ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এলাকার মানুষ অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছে।
এলাকাবাসী বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মরহুম আলহাজ্ব মো. জিল্লুর রহমান এলজিআরডি মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে আশ্বাস দিয়ে ছিলেন এ রাস্তাটি পাকাকরণ করে দিবেন। এমনকি গত ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর এক পথ সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন শ্বশানীপাড়া গ্রামে দাঁড়িয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন অতিদ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণ করে দেওয়া কাজ হাতে নেওয়া হবে, নৌকা মার্কাকে পাস করান রাস্তা হয়ে যাবে। নির্বাচন গেল আবার নির্বাচন চলেও এলো, কিন্তু রাস্তার গর্ত গর্ত-ই রয়ে গেলো।
এলাকাবাসী এ রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।