
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কুলিয়ারচর পৌরসভা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। ২ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী অলিউল্লার ভাই, চাচা, ভাতিজা ও সমর্থকগন জয়ী প্রার্থী সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। দুইজনকে আশংকা জনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯ টার দিকে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড নয়াগাঁও-বেপারিপাড়া মোড়ে এই ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবসী সূত্রে জানাযায়, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী অলিউল্লার ভাই, চাচা, ভাতিজা ও সমর্থকগন জয়ী প্রার্থী সমর্থকদের উপর হামলা চালায়।এতে নয়াগাঁও-বেপারিপাড়ার আলাল মিয়ার ছেলে শ্যামল (২২) ও শামিম (১৮) আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। পরে আশংকা জনক অবস্থায় তাদের প্রথমে কুলিয়ারচর সরকারি হসপিটাল নিলে, সেখান থেকে ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হসপিটাল রেফারড করেন। সেখান থেকেও আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন। তাদের দুইজনের অবস্থায় আশংকা জনক বলে জানা যায়। এছাড়া ওই হামলায় একই গ্রামের মনজিল হোসেনের ছেলে রাজিব (১১) নামে আরকে শিশুর হাত ভেঙে দেয় এবং হাফেজ হুমায়ুন কবির নূরীর সমর্থকদের দোকান ও বাড়িঘরে ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষের হামলাকারীরা।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৬ জানুয়ারি) কুলিয়ারচর পৌরসভা নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোঃ অলি উল্লাহ (পানির বোতল প্রতিকে) ৭৬৫ ভোট পায় এবং তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হাফেজ মাওঃ হুমায়ুন কবির নূরী (উঠ পাখি প্তিকে) ১২১১ পেয়ে নির্বাচিত হয়।
এই ঘটনায় বিকাল ৫ টায় ২নং ওয়ার্ড বাসি কাউন্সিলর অলি ও হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে এ-ই এলাকায় এক বিক্ষোভ মিছিল বের করেছেন এবং এই ঘটনায় কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
এই বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম সুলতান মাহমুদ জানান, এই বিষয়ে কুলিয়ারচর থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।