কুলিয়ারচরে মহান বিজয় দিবস উৎযাপিত
মোঃ আলী সোহেল, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে মহান জাতীয় বিজয় দিবস-২০২১ ও বিজয় সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে।
বিজয় দিবস ও বিজয় সুবর্ণজয়ন্তী উৎযাপন উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার  (১৬ ডিসেম্বর) ভোরের প্রথম প্রহরে কুলিয়ারচর থানা সংলগ্ন মাঠে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবস সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠান শুরু করেন কুলিয়ারচর থানা পুলিশ। পারে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি ভবন সমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
পরবর্তীতে সকাল ৮ টার দিকে উপজেলা প্রশাসন, আ,লীগ ও অংগসংগঠন, উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ, কুলিয়ারচর প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পৃথক ভাবে কুলিয়ারচর শহীদ সেলিম স্মৃতি সংসদ প্রাঙ্গণে স্মৃতিশোধে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইয়াছির মিয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুছা জিসান, পৌর মেয়র সৈয়দ হাসান সারওয়ার মহসিন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম বুলবুল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ নূরে আলম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদা খানম মুক্তা, কুলিয়ারচর থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, ওসি (তদন্ত) মোঃ লুৎফর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এনামুল হক, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বৃন্দ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার ব্যাক্তিবর্গ।
পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুলিয়ারচর থানা সংলগ্ন মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করা হয়। এর আগে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনী সমন্বয়ে বর্ণাঢ্য এক কুচকাওয়াজ ও শিশু কিশোর সমাবেশ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা এবং এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর ২ টার দিকে নামাজের পর বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির ও বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত শেষে বিভিন্ন হাসপাতাল ও এতিম খানায় উন্নতমানের খাবারের বিতরণ করেন, পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের শপথ বাক্য পাঠ অনুষ্ঠিত হয়।