নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণার কেন্দুয়া র রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের বঙ্গবাজারে একসনা বন্দোবস্ত পাওয়া ভিটায় উন্নয়নকাজে বাধাঁ দেয়ার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
আব্দুল কাদির নামে সঃ পঃ লাইসেন্সধারী একজন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে এই অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে আব্দুল কাদির বলেন, তাদের সঃ পঃ লাইসেন্সকৃত ভূমি হতে এক অসাধুচক্রের মাধ্যমে বাজারের ইজারাদার অর্থের বিনিময়ে জোর পূর্বক চালা/চালি বন্দোবস্ত দিয়েছে। যার কারণে লাইসেন্সকৃতদের নির্ধারিত স্থানে ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনাসহ বাধাঁর মূখে উন্নয়ন কাজ করতে পারছেন না।
এমতাবস্থায় যেকোন সময় দুই পক্ষের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটতে পারে এবং ইহাতে তাদের অপূরনীয় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। সরকারি বিধি মোতাবেক বাজার পরিচালনা,বাজারের সুনাম অক্ষুন্ন রাখাসহ সঃ পঃ লাইসেন্সধারী মালিকগণকে তাদের নির্দিষ্ট ভূমি বুঝিয়ে দেয়ার জন্যে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।
সুত্র জানায়, দুই/তিন বছর পূর্বে বাজারের বেশ কয়েকটি চান্দিনা ভিটা একসনা বন্দোবস্ত নেয়। বন্দোবস্তকৃত পাওয়া কেউ কেউ ঘর নির্মাণ করেছেন। এরমধ্যে অনেকেই ঘর নির্মাণ করতে পারেনি। চলতি বছর বাজারের ইজারা পায় আব্দুল কাদের সবুজ। তিনি ইজারা পেয়ে সঃ পঃ লাইসেন্সকৃত ভিটা ভাড়া দিয়ে ফেলেছেন। তাছাড়া কিছুদিন আগে বাজারের একাংশ ব্যবসায়ীরা একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করে উক্ত সঃ পঃ লাইসেন্সকৃতদের ভিটার দখল ছাড়ার আল্টিমেটাম দেন।
এনিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সঃ পঃ লাইসেন্সকারী সাইফুল ইসলাম ফকির সন্তোষ জানান,আমরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করলে উপজেলা ভূমি অফিস আমাদের সঃ পঃ লাইসেন্স প্রদান করেন।
এখন বাজারের ইজারাদার ও বাজারের একাংশ ব্যবসায়ীদের নিয়ে সদ্য গঠিত কমিটি সভাপতি সাইদুল ইসলামসহ তার লোকজন আমাদের নির্মাণার্ধীন ঘর সরিয়ে নিতে প্রথমে ৭দিন পরে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়। আমরা তাদের বাধার মূখে আমাদের বৈধ জায়গা উন্নয়ন মূলক কাজ করতে পারছিনা। তারা যেভাবে আল্টিমেটাম দিচ্ছে এতে যেকোন সময় একটি অঘটন ঘটতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
সদ্য গঠিত কমিটি সভাপতি সাইদুল ইসলাম জানান, বাজারের কোন চান্দিনা ভিটা নেই। তারা রাতে আধারে তোহা মহালসহ কয়েকটি মহালে ঘর তুলেছে। আমরা তাদেরকে বলেছি সরকার যদি তাদেরকে ভিটা দিয়ে থাকে তাহলে সরকারি লোকজন এসে তাদেরকে জায়গা বুঝিয়ে দিলে তারা ঘর নির্মাণ করুক।
এর আগে তাদের ঘর সরিয়ে নেয়ার জন্য বলেছেন বলে জানান তিনি। ইজারাদার আব্দুল কাদের সবুজ বলেন,সরকারের নিয়মানুযায়ী চালা/চালী ইজারা দিয়েছি। এব্যাপারে কেন্দুয়া উপজেলা
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.খবিরুল আহসান বলেন, আমার আমলে এগুলো ভিটা বন্দোবস্ত দেয়া হয়নি। রোজা ঈদের পর ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সমাধান ব্যবস্থা করে দেব।
ফয়সাল চৌধুরী
১১-০৫-২০২১ মঙ্গলবার
