কাপ্তাই প্রতিনিধি(রাঙ্গামাটি): কাপ্তাই উপজেলার আওতাধীন চন্দ্রঘোনা-বাঙ্গালহালীয়া-রাজস্থলী-বান্দরবান সড়কে চলাচলের নিমিত্তে কর্ণফুলী নদীর উপর ফেরী চালু হয় বিগত জনাব এরশাদ সরকারের শাসনামলে। সেই থেকে অদ্যাবধি ফেরি চলাচল অব্যাহত আছে। দৈনন্দিন শত শত যানবাহন চলাচল করে।সাথে সাথে সাধারণ মানুষ নিত্য প্রযোজনে ফেরী পারাপার হয়। যেহেতু বহু যানবাহন এবং সাধারণ জনতা ফেরী পারাপারের মাধ্যমে যাতায়াত করে সেহেতু ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্যে নদীর ধারে এপার ওপার ফেরীঘাটে দীর্ঘ লাইন ধরে দোকানপাট গড়ে ওঠে। শুরুতে ২/১ টা ব্যবাসায়িক দোকানপাট গড়ে ওঠলেও পরবর্তীতে একাধিক দোকানপাট এবং বেশ কয়েকটি বসতিও গড়ে ওঠে যা সম্পূর্ণ অবৈধ স্থাপনা। সরকারী ভ’-সম্পত্তি দখল করে সাধারণ কিছ’ স্বার্থান্বেষী মানুষ দোকানপাট এবং বসতি গড়ে তোলে যা রীতিমত ফেরীঘাটের সৌন্দর্য্যকে ¤øান/মলিন করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য,বিগত কয়েক বছর আগে স্থানীয় ২ নং রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদ সেই সরকারী সম্পত্তিতে যাত্রীদের জন্য একটি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করে।

বিগত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের শাসনামলে তৎকালীন তত্ত¡াবধায়ক সরকারের প্রধান জনাব ফখরুদ্দীন আহম্মেদ(সাবেক গভর্ণর,বাংলাদেশ ব্যাংক) এর নির্দেমক্রমে এসব অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বলতে গেলে,ব্যাবসা-বানিজ্যের উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা এ সকল দোকানপাট এবং বসতি ধুমড়ে-মুচড়ে একাকার করে সম্পূর্ণভাবে উচ্ছেদ করা হয়।ফেরিঘাটের সৌন্দর্য্য তার চিরাচরিত সৌন্দর্য ফিরে পায়। স্বাভাবিকতা আসে নদীর ধারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসা শত শত প্রকৃতি প্রিয় মানুষের কাছে। যানবাহন চলাচলও নির্বিঘেœ হয়। তবে অতীব হতাশের বিষয় হলো,আগের সেই স্বাভাবিক অবস্থা এখন আর নেই।পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সেই স্বার্থান্বেষীচক্র পুনরায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে শুরু করে।“সওজ” কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত সরকারী ভ’সম্পত্তিতে অবৈধভাবে এখন পুনরায় একাধিক দোকানপাট এবং ২/১ টা বসতি গড়ে ওঠেছে।

অতএব বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনাকরতঃ যথাযথ ব্যবন্থা গ্রহনের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে কর্ণফুলী নদী সংলগ্ন উপরোক্ত সড়কের ফেরী পারাপারে ফেরীঘাটের সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপই উপরোক্ত সমস্যার যথোপযুক্ত সমাধান।