গাজীপুর প্রতিনিধিঃ ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাক-হানাদার মুক্ত হয়। গাজীপুরের জয়দেবপুর, ছয়দানা,পূবাইল ও কালীগঞ্জ এলাকায় সম্মুখ যুদ্ধের মাধ্যমে হানাদার মুক্ত হয়। টানা চার দিন যুদ্ধ শেষে পাক-হানাদাররা মুক্তি ও মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়। এতে নিহত হয় শতাধিক পাক সেনা এবং শহীদ হয় বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয় কয়েকটি গ্রামও । স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে ১২ ডিসেম্বর থেকে পরিকল্পনা শুরু হয় জয়দেবপুর ও কালিগঞ্জ উপজেলাকে পাক-হানাদার বাহিনী মুক্ত করার। পরে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে বেশকয়েকটি স্থানে সম্মুখ যুদ্ধের মাধ্যমে ১৫ ডিসেম্বর এ দুটি উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৩ ডিসেম্বর জয়দেবপুর থানায় ও রেল ষ্টেশনের পাশে পাকবাহিনীর দখল মুক্ত করতে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেয় মুক্তিযুদ্ধারা। সবশেষ ছয়দানা এলাকায় ঢাকামুখী পাকবাহিনীর উপর ভারী অস্ত্রের মাধ্যমে ভারতীয় মিত্রবাহিনী ও মুক্তি বাহিনী পাক-বাহিনীর জিপে সেল মেরে জ্বালিয়ে দেয়ার মাধ্যমে ১৫ ডিসেম্বর এ এলাকা থেকে পাকবাহিনী চলে যেতে বাধ্য হয়। এখনো গাজীপুরের বধ্যভূমিগুলো অরক্ষিত থাকায় ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধারা । দ্রুত এসব বধ্যভুমি সংরক্ষণের দাবী তাদের । গাজীপুর সদর উপজেলার বারিয়া এলাকায় বধ্যভুমি সংরক্ষন করে একটি দৃষ্টি নন্দন স্মৃতি স্তম্ভ করা হচ্ছে । পরবর্তীতে অন্যান্য বধ্যভুমিগুলোও সংরক্ষণের ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন,গাজীপুরের জেলা প্রশাসক – এস এম তরিকুল ইসলাম। গাজীপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের দাবী, স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বশেষ প্রতিরোধ যুদ্ধস্থল ছয়দানা বধ্যভুমিটি দ্রুত সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।