রায়গঞ্জ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ (কোভিট১৯)করোনা কালীন সময়ে স্কুল,কলেজ সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মোবাইল ফোনে পাবজি,ফ্রি ফায়ার সহ প্রভৃতি গেমে আসক্ত হয়ে পরে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোঃ মোন্নাফ হোসেন।তার পরিবার যখন বুঝতে পারলো যে তার ছেলে গেমে আসক্ত হয়ে পরেছে,ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।

 

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অতিরিক্ত গেম খেলার কারনে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ায় মোন্নাফ হোসেন( ১৬)এক কিশোর তার শোবার ঘরে গলায় গামছা পেচিয়ে আত্নহত্যা করেছে।মোন্নাফ হোসেন উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের হাসাকোলা গ্রামের শাহিন রেজার ছেলে ও শাহজাদপুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার উপপরিদর্শক শাহীন মাহমুদ সহ পুলিশ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।নিহত মোন্নাফের স্বজনদের  কাছে থেকে জানা যায় যে, মোন্নাফের পিতা শাহীন রেজা দীর্ঘ ৫ বছর বিদেশে থেকে,করোনার সময় দেশে চলে আসেন।মোন্নাফ একজন মেধাবী ছাত্র ছিল। দীর্ঘ মহামারি করবোনা ভাইরাস এর কারনে স্কুল, কলেজ সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সে সারাক্ষণ ফোনে গেম খেলতো। গেম খেলার আসক্ত অতিরিক্ত পর্যায়ে যায় তখন তার পিতা-মাতা  বিষয় টা জানতে পারে।এক সপ্তাহ পূর্বে শাহিন রেজা তার ছেলের কাছ থেকে মোবাইলটি কেড়ে নেয়। (বুধবার১০ই মার্চ)মোন্নাফ কাউকে না জানিয়ে মোবাইল নিয়ে গেম খেলা শুরু করে। তার বাবা জানতে পেরে মোবাইল টি কেড়ে নেয়।এবং গালাগালি দেয়।রাতে পরিবারের সঙ্গে খাবার খেয়ে মোন্নাফ তার নিজ ঘরে শুয়ে পরে।পরের দিন বৃহস্পতিবার(১১মার্চ) সকালে তার মা ময়না খাতুন ছেলে ডাকাডাকি করলে কোন শারা শদ্ব না পেয়ে,জানালা দিয়ে উকি দিয়ে তার ছেলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।পরে জানালা ভেঙে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শাহজাদপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ শাহীন মাহমুদ খান জানান,খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ সদস্যের একটি দল ঘটনা স্থলে যায়,এবং লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে।