বরগুনা প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় বরগুনা জেলায় সকল প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় বরগুনায় প্রস্তুত করা হয়েছে ৬৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র। এছাড়া জেলার ছয়টি উপজেলায় একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
রোববার (২৩ মে) রাত ১০টার পর থেকে জেলায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, বুধবার (২৬ মে) সকাল থেকে ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলায়। ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় তার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫৫-১৮৫ কিলোমিটার।
জানা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জনসাধরণকে সচেতেন করতে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে জেলা জুড়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে সতর্কমূলক প্রচার। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ, রেড ক্রিসেন্ট ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
(সিপিপি) উপ পরিচালক কিশোর কুমার সরদার বলেন, বরগুনা সদর, আমতলী, তালতলী ও পাথরঘাটা উপজেলায় সিপিপির সাড়ে ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবী ইতোমধ্যেই কাছ শুরু করেছেন। তারা ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে উদ্ধার অভিযানসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
বরগুনা জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ও ৩৫৭ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। যা পরবর্তীতে প্রতিটি উপজেলায় বণ্টন করা হবে। এছাড়াও শিশু খাদ্যের জন্য ৬ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ৭ হাজার ৫০০জন স্বেচ্ছাসেবী ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন। তারা সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে করণীয় সম্পর্কে বুঝাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আমাদের পর্যাপ্ত নগদ টাকা ও খাদ্যসামগ্রী মজুদ আছে। মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ চিহ্নিত করে তা দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলাজুড়ে প্রচারণার কাজও শুরু হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জেলার ঝুঁকিপূর্ণ সব মানুষকে আমরা আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে চাই। তাই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয় এ জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সব জনপ্রতিনিধিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।