কাপ্তাই প্রতিনিধি(রাঙ্গামাটি):

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায়“কর্ণফুলী নদী” লুসাই পাহাড় হতে প্রবাহমান। কর্ণফুলী নদী সংলগ্ন কাপ্তাই পানি বিদ্যূৎ প্রকল্প এবং কর্ণফুলী পেপার মিলস লি: অবস্থিত। এছাড়াও ব্যবসা বানিজ্যের নানাবিধ সমাহার। কাঁচামাল থেকে শুরু করে নিত্যদিনের পন্য সরবরাহ হয় কর্ণফুলী নদীর উপর “সওজ” কতর্ৃৃক প্রদত্ত ফেরি পারাপার দ্বারা। ফেরি পারাপারের মাধ্যমে চন্দ্রঘোনা-বাঙ্গালহালিয়া-রাজস্থলী-বান্দরবান সড়কে নানাবিধ যানবাহন চলাচল করে। কর্মজীবি থেকে শুরু করে নানা পেশার মানুষের যাতায়াত এই ফেরি দ্বারা পারাপারের মাধ্যমে। প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল এবং পারাপার হয় “সওজ” কর্তৃক প্রদত্ত ফেরি দ্বারা। অলসভাবে একটি ফেরি নদীর ধারে পড়ে রয়েছে। একটিমাত্র ফেরি দ্বারা যানবাহন পারাপার হচ্ছে প্রতিদিন। অনেক সময় ফেরিতে যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত নয়তো নদীতে পানি বৃদ্বিজনিত সমস্যাহেতু ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়।এমতারস্থায় নদীর এপার ওপারে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মাবলম্বির অনুষ্ঠান চলাচলকালীন সময়ে একটি ফেরি পারাপার দ্বারা যানবাহন এবং সাধারন মানুষকে পারাপার কার্য সম্পন্ন করতে ফেরি তথা সওজ কর্তৃপক্ষকে বহুবিধ সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তখন দূর গন্তব্যে গমণকারীদের দূর্ভোগের স্বীকার হতে হয়।যার ফলে গন্তব্যে যাতায়াতকারীদের যথাস্থানে পৌঁছুতে বিলম্ব হয়।

এছাড়াও কাঁচামাল বা নিত্যপন্য শহরাঞ্চলে সরবরাহ করনে সময়ক্ষেপন হয়। ফলস্বরূপ ব্যবসা বানিজ্যের সাথে সম্পৃক্তরা বহুবিধ ক্ষতির সম্মুখিন হন।

উল্লেখ্য যে, মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের মহোদয় বিগত সময়ে অত্র ফেরিঘাট দিয়ে ফেরি পারাপার হয়ে জনগনের দূর্দশা সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেছেন।পাশাপাশি নদীর দুই পারে কিছু সময় অবস্থানপূর্বক স্থানীয় এবং পারাপাররত মানুষের সাথে কথা বলেন এবং নানাবিধ ভোগান্তির কথা মনযোগ সহকারে শুনেন।এমতাবস্থায় মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অত্র ফেরিঘাট তথা চন্দ্রঘোনা-বাঙ্গালহালিয়া-রাজস্থলী-বান্দরবান সংযোগ সড়ক সেতু স্থাপনে সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন এবং সেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনে সর্বাত্মক প্রচেস্টার আশ^াস দেন ।

আরও উল্লেখ্য যে, সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী(বর্তমান তথ্যমন্ত্রী) জনাব হাছান মাহমুদ মহোদয় এ কর্ণফুলী নদীসংলগ্ন ফেরিঘাটের ফেরি পারাপারের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে নিজ বাড়ি রাঙ্গুনীয়া(পদুয়া) তথা নানাবিধ কাজে যাতায়াত করেছেন এবং অদ্যবধি করছেন। অতীব দূ:খের বিষয় আজো সাধারণ জনগণের বহু প্রত্যাশিত কর্ণফুলি নদীর উপর চন্দ্রঘোনা-বাঙ্গালহালিয়া-রাজস্থলী-বান্দরবান সংযোগ সড়ক সেতু নির্মানের কোন সম্ভাবনা দৃশ্যমান হয়নি।

অতএব সর্বস্তরের জনগণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছেন,কর্ণফুলী নদীর উপর চন্দ্রঘোনা-বাঙ্গালহালিয়া-রাজস্থলী-বান্দরবান সংযোগ সড়ক সেতু নির্মানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সঠিক নির্দেশনা প্রদান করত জনগণের দূঃখ-দূর্দশা লাঘবে সচেষ্ট হবেন। কর্ণফুলি নদীর উপর চন্দ্রঘোনা-বাঙ্গালহালিয়া-রাজস্থলী-বান্দরবান সংযোগ সড়ক সেতুটি নির্মিত হলে ভ্রমনপিপাসু তথা পর্যটক থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ নির্বিঘেœ চলাচল করতে সক্ষম হবেন,পাশাপাশি ব্যবসা বানিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটবে।