ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বেসরকারী হাসপাতাল নিউ স্কয়ার জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে আগত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান ও বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা কালে নারী রোগীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও কিছু কিছু নারীদের সাথে শ্রীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ ছাড়াও সম্প্রতি আরো কিছু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে রোগী ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং নারীদেরকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা ।

জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম পাইকপাড়া রামকানাই দত্ত স্কুল সড়কের পাশে অবস্থিত নিউ স্কয়ার জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই পাঁচ বছর আগে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। উপরন্তু বিভিন্ন সময় হাসপাতালের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ পাওয়া যায়। কয়েক বছর পূর্বে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালটিতে ভাঙচুর চালায় রোগীর আত্মীয় স্বজন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় পৈরতলা গ্রামের এক নারী রোগীর স্বামী আমাদের বলেন, কিছুদিন পূর্বে আমার স্ত্রী স্কয়ার হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাফ করার জন্য যায়। তখন সেখানকার দায়িত্বরত একজন কর্মী আমার স্ত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়ার চেষ্টা করে। সে লজ্জায় বিষয়টি হাসপাতালের কাউকে না বললে আমাকে জানায়। আমিও নিজের মান সম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টিকে ইতোপূর্বে আর কাউকে জানাইনি।

সুহিলপুর এলাকার অপর আরেক রোগী বলেন, একদিন স্কয়ার হাসপাতালে একটি এক্সরে করার জন্য গেলে সেখানকার টেকনিশিয়ান আমাকে সেবা দেওয়ার নাম করে আমার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। আমি সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতিবাদ করলে সে আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে।

বিভিন্ন সময় রোগীর আত্মীয় স্বজনরা এসব বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কে জানালে তারা বিষয়টি অস্বীকার করে, উল্টো রোগী ও তার আত্মীয়-স্বজন কে দোষারোপ করতে থাকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক নারী রোগীর অভিভাবক হাসপাতালের দুইজন পরিচালক। মোঃ লিংকন ও মোঃ আবু সাঈদকে বিষয়টি জানালে তারা উক্ত বিষয়টি অস্বীকার করে এবং তাঁকে নানা হুমকি-ধামকি প্রদান করে।

এমতাবস্থায় সেই ব্যক্তির মাধ্যমে আমরা বিষয়টি জানতে পারি এবং সর্বসাধারণকে সতর্ক করার জন্য গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আসি। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য শহরের সচেতন নাগরিকবৃন্দ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।