লালমোহন( ভোলা) প্রতিনিধিঃ লালমোহনে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরাদ হোসেন মুরাদ চোরাই গরু উদ্বার করে চোরাই গরুর মালিক মন্নানের হাতে তুলে দেন। চোরাই গরুর হোতা
রফিক মেম্বার তার ছেলে মাসুদ পশ্চিম চর উম্মেদ ইউনিয়নের তার ভগ্নিপতি কামরুল পলাতক।
ইদানিং কালে চুরির উপদ্রুপ বেড়ে চললেও চোর ছিল ধরাছোয়ার বাহিরে। প্রায় রাতেই কোন না কোন বাড়ীতে ঘর চুরি,হোন্ডা চুরি, দোকান চুরির খবর পাওয়া যায়। । গতকাল শুক্রবার সকালে ফরাজগঞ্জ ৯ নং ওয়ার্ডের রফিক মেম্বারে বাড়ীতে দুটি নতুন গরু দেখে লোকজনের সন্দেহ হয় এবং বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি চৌকিদার ও দফাদার দিয়ে গরুটিকে আটক করে। একটি গরু প্রমান দিয়ে নিতে পারলেও কালো রংয়ের গরুটি নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। গরুটি ঐ ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার রফিক তার ভগ্নিপতি পশ্চিম চরউম্মেদ ইউপির ১নং ওয়ার্ডের কামরুল মাঝি থেকে ক্রয় করেছে বলে চেয়ারম্যানকে ভূল বুঝিয়ে গরুটি নিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরা গরুর ছবি সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিলে চরভুতা ইউনিয়নের মন্নান এসে গরুর মূল মালিক দাবী করলে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরাদ হোসেন মুরাদ চরভূতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান টিটবকে মন্নানের গরু চুরি কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি এই গরুটি চরভুতা ইউনিয়নের মন্নানের বলে নিশ্চিত করেন । পরে (১৩ মার্চ শনিবার) সকালে চেয়ারম্যান গরুটিকে উদ্বার করে মালিকের হতে দিতে পারলেও চোর রফিককে উপস্থিত করাতে পারেনি। জানাযায়
গরুর মূল মালিক আসার খবর পেয়ে মন্নান গরুটিকে অন্যত্র সরিয়ে পালিয়ে যায়। রফিক মেম্বার তার ছেলে মাসুদ পশ্চিম চর উম্মেদ ইউনিয়নের তার ভগ্নিপতি কামরুল সহ সাদাপুল এলাকার ভদ্রভেসী কিছু বিপদগামী লোক নিয়ে গরু চুরির একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে। এর পূর্বেও তাদের বিরুদ্ধে চুরি সহ বিভিন্ন অপকর্মের সংবাদ পাওয়া গেছে। প্রায় সময়ই তারা চুরি করে গরু আনা নেওয়া করে বলে গোপন সুত্রে জানাযায়। এব্যাপারে রফিক মেম্বারের মোবাইল ফোনে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। । স্থানীয় চেয়ারম্যান ফরাদ হোসেন মুরাদ বলেন, সংবাদ পেয়ে শুক্রবার সকালে আমি চৌকিদার দিয়ে গরুটি আটক করি।আমার ইউনিয়নের সাবেক মেম্ব্রা রফিক গরুটি মহিষখালির তার ভগ্নিপতি কামরুলের কাছ থেকে ক্রয় করেছে বলে আমাকে ভূল বুঝিয়ে গরুটি নিয়ে যায়। কামরুলও গরুটি তার বলে আমার কাছে দাবী করায় আমি গরুটি রফিক মেম্বারের হাতে দিয়ে দেই। রাতেই গরুটি মূল মালিক মন্নান দাবী করায় গরু আনতে দফাদার পাঠালে রফিক মেম্বাার ও গরু কোনটাই না পাওয়ায় আমার সন্দেহ হয়। আজ শনিবার সকালে আমি গরু উদ্বার করে মূল মালিক মন্নানের হাতে তুলে দিতে পারলেও চোর রফিক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে হাজির করতে পারিনি। তবে গরু পেয়ে মূল মালিক মন্নান খুব খুশি ।