বাবা-মায়ের ইচ্ছে
গোলাম আযম
মজুর যুবার রৌদ্রে পুড়ে
করছে জমি চাষ,
দুখ ঘোচাতে সংসারে যে
ফেলে দীর্ঘশ্বাস।
কামলা যে যার নিত্যদিনের
নৈমেত্তিক কাম,
পরিবারের অন্ন যুগায়
তুলে গা’য়ের চাম!
কামলা করে গা গতরে
আসে কিছু টাকা,
দেনার দায় পরিশোধ করে
পকেট হয় ফাঁকা।
নুন আনতে যে পান্তা ফুরোয়
চলে এভাবে দিন,
ঘাটতি পূরণ করতে গেলেই
বাড়তে থাকে ঋণ!
ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার
কাঁধে পড়ে ভার,
জনম দুখীর সংসারে যে
পারছি না কভূ আর!
স্বপ্ন দেখি ছেলে যে তার
জর্জ ব্যারিষ্টার হবে,
বাবা-মায়ের ইচ্ছে কভূ
বৃথা নাহি যাবে।
খোকা
বিচিত্র কুমার
সকল মায়ের খোকা যিনি
তার কাছেতে সবাই ঋণী,
এক নামেতেই সবাই চিনি
স্বাধীনতার কবি তিনি।
সে একাত্তরে শুনিয়ে ছিলো
আমাদের স্বাধীনতার কথা,
রক্ত যখন দিয়েছি আমরা
আবার দিব যথা।
মানব না আর শাসন বারণ
পশ্চিম পাকিস্তানের,
ভাই ও বোনেরা তৈরী থাকো
বাংলার ঘর ঘর।
সেই ডাকেতেই স্বাধীন হলো
আমাদের দেশ মাতা।
পল্লীর রাত
মোবারক হোসেন
হুক্কা হুয়া কি যে মজা
গান ধরেছে শিয়ালে,
ঘেউ ঘেউ উচ্চ স্বরে
কুকুর যেন খেয়ালে।
তানপুরা নেই তবলচি নেই
চলছে গানের মহড়া,
গোয়াল ঘরে হাম্বা হাম্বায়
গরু দেয় বাহবা।
রাতের আধার কাটছে সাঁতার
তাদের সঙ্গ এড়াতে,
এমন দৃশ্য অহরহ
পল্লী গাঁয়ের পাড়াতে।