জনপ্রিয়তার শীর্ষে আলহাজ্ব মোঃ মোশারফ হোসেন প্রধান

মোঃ মিজানুর রহমান পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ
জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ৩ নং পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ মোশারফ হোসেন প্রধান সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
তিনি নীলফামারী জেলার ডোমার থানার ছোটরাউতা ইউনিয়নের জালিয়াপাড়ায় ১৯৫৮ সালের ৫ ই জুন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম আছিমউদ্দিন প্রধান এবং মাতার নাম মরহুম লতিফুল নেছা। পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালে পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলা ৩নং পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে সিংপাড়া গ্রামে পরিবারের সাথে স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্র রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ তৈরি করার লক্ষ্যে পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় গোরস্থান মাঠে আনসার কমান্ডার হেলাল মিয়ার নেতৃত্বে ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করেছিল। উক্ত ট্রেনিংপ্রাপ্ত বাহিনী পঞ্চগড় সদর উপজেলায় পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দুই থেকে তিন রাত পাক সেনাদের বিরুদ্ধে সেলটার তৈরি করে থাকার পরেও টিকতে না পেরে তেঁতুলিয়ার উদ্দেশ্যে ৬ নং সেক্টরের সাব-সেক্টর উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা সেরাজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে রওনা দিয়েছিলেন। তিনি উনার সেই বেসামরিক বাহিনীর একান্ত সহচর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন । ১৯৭১ সালের ২৮ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা চারদিকে থেকে পাকিস্তান বাহিনীর উপর আক্রমন শুরু করেন এবং ২৯ নভেম্বর পাকহানাদার বাহিনীর কবজা থেকে পঞ্চগড়কে মুক্ত করেন। তারপর বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে তার বাহিনী তেঁতুলিয়া থেকে যাত্রা শুরু করে পঞ্চগড় থেকে বোদা হয়ে ঠাকুরগাঁয়ে এক বিহারীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে ঠাকুরগাঁও শহর পাহারারত অবস্থায় থাকার ৯ দিন পর পঞ্চগড় ফিরে আসেন। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তীতে তিনি ছাত্র রাজনীতি চালিয়ে যান, ১৯৮১-১৯৮৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন , পরবর্তীতে পঞ্চগড় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আজ অবধি স্বপদে বহাল আছেন। তিনি একজন ত্যাগী ও দেশ প্রেমিক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলা ৩ নং পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদ এ দুইবার চেয়ার মার্কা প্রতীক নিয়ে এবং ২০১৬ সালে দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন কিন্তু সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন।এবারে তিনি এলাকায় মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন গঠনমূলক কাজের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।