জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ বর্তমান এমন একটা আবহাওয়া না শীত না গরম রাতে ফ্যান ছারতে হয়।আবার কাঁথা গায়ে দিতে শুয়ে থাকতে হয়।গোসল করলে পানি ঠান্ডা লাগে।আবার ফ্রীজের ঠান্ডা পানি ও খেতে হয়।এমন একটা বৈরী আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে মানব জীবন অতিবাহিত হলেও নীলফামারী জলঢাকা উপজেলায় মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানব জীবন।

এ দিকে গত ৩০ জানুয়ারী পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াস হোসেন বাবলু জয় লাভ করে আগামী ৫ বছরের জন্য পৌর মেয়র হিসাবে নিযুক্তি হন।তবে নব-নির্বাচিত পৌর মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পৌর সভার রাস্তা ঘাট,হাট বাজার,নালা-নর্দমা অলি-গলি দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরিচ্ছন্ন কর্মী দ্বারা পরিস্কার রাখার চেষ্টা করছেন।তবে কিছু বদ্ধজলাশয় ও নালা নর্দমায় ময়লা আবর্জনার স্তূপে ভরপুর হওয়ায় তা ঠিক মতো পরিষ্কার না করার ফলে মশার উপদ্রব বেড়েছে কয়েক গুণ।তবে এলাকার সাধারণ জনগনের সাথে কথা বলে জানা যায়,বিগত বছরের চেয়ে এবার মশার উপদ্রব অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগছেন জনগন।

পৌর সভার হারুন,সালাম,সবুজ,বেলাল,রিপন,সুমন আজাদ সহ বেশ ,কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই মশার যন্ত্রণায় অস্থির তাঁরা। মশার উৎপাতে ছেলে-মেয়েরা সন্ধ্যায় ঠিকমতো পড়াশোনা পর্যন্ত করতে পারে না। মশার কারণে তাঁদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। চারদিক দিয়ে এমনভাবে মশা ঘিরে ধরে কোনো ধরনের স্প্রে, কয়েল বা মশারি টানিয়েও রেহাই পাওয়া যায় না।

এ বিষয়ে উপজেলা সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃআবু হাসান মোঃ রেজওয়ানুল কবীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মশার আক্রমণ থেকে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জিকা ভাইরাসসহ নানা মরণঘাতী রোগজীবাণু ছড়াতে পারে।সে জন্য বাসাবাড়ির আঙিনা পরিষ্কারসহ যেকোনো গর্তে,ফুলের টবে,ডাবের ফেলে দেওয়া খোসা, এসি বা ফ্রিজে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলুর সাথে মুঠোফোন কথা হলে তিনি বলেন,দেখেন আমি নবনির্বাচিত পৌর মেয়র আমি সবে মাত্র দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।আপনারা যেহেতু আমাকে ভালো বেসে ভোট দিয়ে পৌর মেয়র হিসাবে নির্বাচিত করেছেন।আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আপনাদের সকল চাওয়া পাওয়া পুরন করতে।
বর্তমানে আমি বিশেষ কাজে ঢাকা আছি। ঢাকা থেকে এসে মশক নিধনের কার্যক্রম শুরু করব।