কাপ্তাই প্রতিনিধি,রাঙ্গামাটি: চন্দ্রঘোনা-রাইখালী-বাঙ্গালহালীয়া-রাজস্থলী-বান্দরবান সড়কে নিয়মিত শত শত যানবাহন চলাচল করে। বিগত এরশাদ সরকারের শাসনামলে রাইখালী ইউনিয়নের রাইখালী রিফিউজি পাড়ায়এই চন্দ্রঘোনা-রাইখালী-বাঙ্গালহালীয়া-রাজস্থলী-বান্দরবান সড়কের উপর বেইলী সেতূ (স্টীল ব্রীজ) নির্মাণ করা হয়।শুরুতে ভারী যানবাহন চলাচল না করলেওবছর কয়েক পরে ভারী যানবাহন চলাচল শুরু করে।এছাড়া সেতু নির্মানের পর যানবাহন চলাচল সীমীত থাকলেও বছর গুরুর পরিক্রমায় মালবাহী ভারী যান ও যাত্রীবাহী যানবাহনের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়।এভাবে শুরুতে বেইলি সেতুটিতে অতিমাত্রায় তার ধারনক্ষমতার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।এতপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য,সেতুটির আশপাশে রয়েছে রাইখালী রিফিউজি পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি মসজিদ,ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানএবং অনেকগুলো বসতবাড়ী।ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সর্বসাধারণ এই বেইলি সেতুটি পারাপারের মাধ্যমে দৈনিক যাতায়াত করে। দিন যায়,মাস যায়,বছর যায়;সবকিছুর সংখ্যাই বৃদ্ধি পায়। যার দরুন অতি বেশি ভারী যান চলাচল অনিরাপদজনক হয়ে উঠে। তারই ফলস্বরুপ বেশ কিছু বছর পূর্বে বেইলি সেতুটিতে বসানো স্টীলের পাটাতনে ফাটল ধরে। বেইলি সেতুর বেশ কয়টি ষ্টীলের পাটাতন ক্ষতিগ্রস্থ হয়।তখন“সওজ”কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ ষ্টীলের পাটাতন মেরামত করে যানবাহন এবং মানুষের চলাচল স্বাভাবিক করলেও তা কয়েক বছর যেতে না যেতেই পুনরায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়।অতি ভারী যানবাহন বিশেষ করে বালু বোঝাই,সিমেন্ট বোঝাই,বাঁশ বোঝা বহনকারী ট্রাক অতি মাত্রায় চলাচল করায় পুনরায় সেই মেরামতকৃত ষ্টীলের পাটাতনগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়।সৃষ্ট সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট বালু ব্যবসায়ীরা স্বউদ্যোগে ষ্টীলের পাটাতনগুলো মেরামত করে দেয়।তবে একথা সত্যি যে, অতি বেশী ঝুঁকিতে আছে এই বেলী সেতুটি কারন স্টীলের পাটাতনের উপর কংকর,সিমেন্ট এর যে প্রলেপ রয়েছে সেগুলোতে ভাঙ্গন লক্ষনীয়।এছাড়া ব্রীজের দক্ষিণ পাড়ে বেইলি সেতুর একটা পিলার ক্ষতিগ্রস্থ।এমতাবস্থায় যখন কোন যাত্রীবাহী যানবাহন কিংবা ভারী বোঝাইকৃত যানবাহন এই বেইলী ব্রীজ দিয়ে চলাচল করে তখন রীতিমত ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয় এবং এও লক্ষনীয় প্রচন্ড একটা কম্পন সৃষ্টি হয়।বেইলি সেতুটি প্রস্থে ছোট হওয়ার দরুন কোন যান চলাচলরত অবস্থায় স্কুলের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণের সেতুটি পারাপার হওয়া অনিরাপদজনক। যান চলাচলের সময় চালকরা ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে জানমাল নিয়ে সেতুটি পারাপার হন।

উপরোক্ত সমস্যার সমাধানকল্পে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সকল জনসাধারণের আকুল আবেদন,উপরোক্ত সমস্যাবলী গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে অনতিবিলম্বে উক্ত সড়কে সমস্যা সংশ্লিষ্ট জায়গায় একটি দীর্ঘস্থায়ী,প্রশস্থ,শক্ত,মজবুত,টেকসই সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতঃ এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ এবং যানবাহন চালকদের উদ্ভুত সমস্যায় জর্জরিত ঝুঁকির হাত থেকে মুক্তি দানে বাধিত করিবেন।