নিজস্ব প্রতিবেদকঃ   চা বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল। রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎসও হচ্ছে চা। ১৮৫৪ সালে মালনীছড়া চা বাগান দিয়ে বাংলাদেশে চা শিল্পের গোড়াপত্তন হয়। চারপাশে সবুজের সমারোহ। নীল আকাশের নিচে যেন সবুজ গালিচা পেতে আছে সজীব প্রকৃতি। বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ হলেও প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে অন্য এক ভালোলাগার ধারক এই চা বাগান। তাই ছুটির অবসরে কিংবা বৈকালিক বিনোদনের তৃষ্ণা মেটাতে তারা ছুটে যান চা বাগানের সবুজ অরণ্যে।

এরই ধারাবাহিকতায় লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালিতে সমতল ভূমিতে মোঃ জামাল উদ্দিন সরকার গড়ে তুলেছেন 3M Tea Plantations চা বাগান। ২০১৬ সালের ৬-ই নভেম্বর এই বাগানে (Unit-01)চা-এর চারা রোপণ করা হয়। এই চা বাগান দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। চা উৎপাদনে এই বাগান বর্তমানে জেলার অন্যতম শীর্ষে অবস্থান করতেছে।

Unit-01তে ২.৮৩ একর, Unit-02 তে ২.৫ একর এবং Unit-03 তে ৪ একর মিলে সর্বমোট ১০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই চা বাগান। এই চা বাগান প্রান্তিক চাষিদের ভাগ্যোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। হয়েছে স্থানীয় বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান। প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫ জন শ্রমিক এই চা বাগানে তাদের শ্রমের মাধ্যমে নতুন পাতা উৎপাদন থেকে শুরু করে চা-বাগানের সামগ্রিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আর স্থায়ী শ্রমিক রয়েছে ৩ জন।

বছরে প্রতি একরে ১৫-২০ হাজার কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে তিনি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। মাসে ২ বার অর্থাৎ ১৫ দিন পর পর বাগান থেকে চা পাতা তোলেন। এই বাগানের কচি চা পাতা থেকে তৈরী করা হচ্ছে হ্যান্ড মেড গ্রীন টি যা 3M Green Tea নামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন যে, স্থানীয় কৃষকরা তামাক চাষে আগ্রহী ছিল কারণ তারা এটি লাভজনক ফসল হিসাবে বিবেচনা করতো। কিন্তু তার অজ্ঞাত যে, চা তামাকের চেয়ে বেশি লাভজনক। তামাক মাটি, পরিবেশ এবং মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অনেক কৃষক ইতিমধ্যে আমার চা বাগান পরিদর্শন করেছেন এবং তারা বলেছিলেন যে তারা তাদের জমিতে তামাকে চাষের পরিবর্তে চা চাষ শুরু করবে।

চা বাগানের একজন শ্রমিক বলেন যে, তিনি এবং অন্যান্য শ্রমিকেরা চা বাগানে কাজ করতে পেরে খুশি কারণ তারা সকলেই তাদের সন্তোষজনক মজুরি পেয়ে থাকেন।