তারাগঞ্জ(রংপুর)প্রতিনিধিঃ রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার দামদুরপুর মামুনপাড়ায় প্রতিবন্ধী শাইদুল ইসলাম (৫০)নামে এক ব্যক্তির দোকানচুরির এমন ঘটনাটি ঘটেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল সরজমিন করলে জানা যায়- তারাগঞ্জ সয়ার দামোদরপুর মামুনপাড়ার মৃতঃ নছুব উদ্দিন এর ছেলে হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী শাইদুল ইসলাম(৫০) প্রায় ৭-৮ বছর ধরে দোকান করে আসছে। গত ৩ জানুয়ারি রবিবার দিবাগত রাত ১০টায় পূর্বের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়িতে আসে।সোমবার সকালে দোকানে এসে দেখতে পায় তাঁর দোকানের তালা খোলা। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবন্ধী শাইদুল ইসলাম দোকানের ভিতরে ঢুকে দেখতে পান তাঁর দোকান থেকে প্রায় ১০-১২ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। এখবরের ভিত্তিতে সকালে তারাগঞ্জ থানা প্রশাসকের কিছু কর্মরত পুলিশ যেখান যান এবং কারন খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেন। এই চুরির ঘটনাটি কেবা কারা থানার পুলিশকে জানিয়েছে এনিয়ে এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত যারা যুব সমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছে তাসখেলা/জুয়া/নেশার মতো অসামাজিক কাজে অপরাধ করে যাচ্ছে মুলত তাঁরাই প্রতিবন্ধী শাইদুল ইসলাম সহ সয়ার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মিজানুর সরকার এবং ইউপি সদস্য মমিনুর সরকারকে বিকৃতি ভাষায় গালমন্দ করে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় হয় বলে অভিযোগ উঠে। প্রতিবন্ধী শাইদুল ইসলামকে তাঁর এই দোকান চুরির ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি দুর্বৃত্তদের চাপে নাম না বলে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে এবং বলেন -” মুই একজন প্রতিবন্ধী। অনেক কষ্ট করে এই দোকানখান দিছুং মোর দোকান খান চুরি না করলে হইলোনা হয়? মোর ১০-১২হাজার টাকা মোর কাছে ১লাখ টাকার চেয়ে বেশী! মুই এখন কি করিম?মোর কেউ নাই? মোর উপর মেলা অত্যাচার হওছে। মোর আল্লাহ ছাড়া বিচার করার কেউ নাই “! প্রতিবন্ধী শইদুল ইসলামের এমন কাঁন্না জড়িত প্রশ্ন সমাজের বিবেকবান মানুষদের কাছে কি পৌচ্ছেবে? আমরা কি সত্য উৎঘাটন করে লোকটির সুবিচার দিতে পারবো? ঘটনাস্থল পরিদশর্নকারী এস আই মিজানুুর রহমান বলেন- ঘটনাটি উদ্দেশ্যমুলক ভাবেই ঘটানো হয়েছে। তবে আমরা ঘটনাস্থলে পৌচ্ছার আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনের বাড়িতে গেলে আমরা কাউকে পাইনি। তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন মুঠোফোনে বলেন- আমি থানার বাইরে আছি। ফোনে ঘটনাটি জানতে পেরে সেখানে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি। অফিসে এলে বিস্তারিত জানতে পারবো।