তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলা সয়ার ইউনিয়ন ডাক্তার পাড়ায় প্রেমিক মাহমুদুল হাসানের বিয়ের সংবাদ পেয়ে প্রেমিকা (২৫) প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করলে তাঁকে মারধর করে টেনে হেঁচড়ে অাহত করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মেয়েটি বর্তমানে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার প্রেমিক মাহমুদুল হাসান সহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন প্রেমিকা। মামলা সূত্রে জানা যায় – সয়ার ইউনিয়ন ফরিদাবাদ ডাক্তার পাড়ার মােজাহারুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল হাসান (২৮) এর সঙ্গে একই ইউনিয়ের ফরিদাবাদ পুটিমারি গ্রামের অাফজালুল হকের মাস্টার্স পড়ুয়া মেয়ে কাজলি অাক্তার (২৫)র সঙ্গে প্রায় দীর্ঘ পাঁচ বৎসর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক করে অাসছিলো এবং বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। হঠাৎ গতকাল ১১ অক্টোবর রাত ১০:৩০ মিনিটে প্রেমিক মাহমুদুল হাসান বিয়ে করে বাড়িতে নববধূ নিয়ে অাসে। এ খবর শুনতে পেরে প্রেমিকা মেয়েটি প্রেমিকের বাড়িতে নববধূর ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে অনশন করলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাকে চুলটেনে হেঁচড়ে চরথাপ্পড় দিয়ে বারান্দায় বের করেন। নির্যাতিত প্রেমিকা বাড়ি থেকে বের হতে না চাইলে দ্বিতীয় ধাপে প্রেমিকাকে কিলঘুষি মারধর করে অাহত করে। তাকে গ্রামপুলিশ সহ ইউপি সদস্য উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন বলেন- এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারি অভিযান চলছে।