দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ গরুর গোবর ফেলার ডালিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে তাজমুল ইসলাম নামে এক যুবকের ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে এবং ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এ হত্যাকান্ড ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল ৬টার দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের কুতুবডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের পিছনে দূর্গাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত তাজমুল ইসলাম (৪০) চিরিরবন্দর উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের কুতুবডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের পিছনে দূর্গাপুর গ্রামে অফুরউদ্দিন শাহ্র ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, চিরিরবন্দরের অমরপুর ইউনিয়নের কুতুবডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের পিছনেই দূর্গাপুর এলাকায় বসবাসরত বয়োবৃদ্ধ মো. আজোমদ্দিনের (৭০) সাথে প্রতিবেশি ময়নুল ইসলামের (৬০) গরুর গোবর ফেলার ডালিকে কেন্দ্র করে ঈদের দিন শুক্রবার বিকেল থেকে ঝগড়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে কুতুবডাঙ্গা হতে বেলতলী বাজার রাস্তার উপরে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় প্রতিবেশি দিনমজুর তাজমুল ইসলাম (৪০) ঝগড়া থামাতে এগিয়ে এলে ময়নুল ইসলামের পক্ষের লোকজনের শাবলের আঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ও প্রতিপক্ষ বয়োবৃদ্ধ আজোমদ্দিন (৭০), তার মেয়ে বুলবুলি আকতার (৩৫) ও নাতি সুমন ইসলাম ১৭) গুরুতর আহত হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন একত্রিত হয়ে ময়নুল ইসলামসহ তার ছেলে শাহাজাহান আলী (২৮), শাহিন আলী (২৪), মেয়ে মমতাজ বেগম (২৬), জামাই সেরাজউদ্দিন (৩০) ও স্ত্রী শাহনাজ বেগম (৫০)কে আটক করে পুলিশে সংবাদ দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করে ও লাশের সুরতহাল করে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। চিরিরবন্দর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় মৃতের স্ত্রী উম্মে কুলসুম (৩২) বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অপরাধীদের কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।