দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত আলমের পরিবারের খোঁজ নিতে তার বাড়িতে, ইউএনও
মোঃ আলী সোহেল, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জর কুলিয়ারচরে বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত মোঃ আলম মিয়ার পরিবারের খোঁজ খবর নিতে নিহতের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী।
গতকাল (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী নিহত আলম মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এসময় এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, স্কুল কলেজ খুলেছে, আপনাদেরকে সজাগ থাকবে হবে যেন, এলাকার কোন স্থানে এই ধরনের ইভটিজিংয়ের ঘটনা না ঘটে।
অন্যদিকে ১ নং গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন ছাত্র সমাজ ও এলাকাবাসীর আয়োজন লক্ষীপুর – আগরপুর সড়কের বড়চারা নতুন বাজার সামনের সড়কে আবারও এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা আলম মিয়ার হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার, ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে মামলা যাতে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত না হয়। এবং আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ যে, গত বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপুর গ্রামে ওয়াজ মাহফিল শুনতে গিয়েছিলেন সেখান থেকে বাড়িতে ফেরার পথে লক্ষীপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের আঙগুর মিয়ার বাড়ির কাছে আসলে রাস্তায় কয়েকজন বখাটে মোঃ আলম মিয়ার মা-বোনদের দেখে নানা অশালীন অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে।এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মোঃ আলম মিয়ার ওপর হামলা করে বখাটেরা। এ সময় আলম মিয়ার মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করে তারা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মোঃ আলমকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে প্রথমে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার ভোর ৪ টা পনের মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে মামলা হওয়ার ২ পর আলম হত্যার প্রধান আসামী রকি গ্রেফতার হয়েছে। প্রধান আসামি রকি গ্রেফতার হওয়ায় আলমের পরিবার সন্তুষ প্রকাশ করেন ও প্রশাসনকে ধন্যবাদ দেন। এবং অন্য আসামীদেরও দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।