উখিয়া(কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ দেশকে তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে নিতে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় যেমন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব করা হয়েছে, তেমনি অসুস্থ মানুষ ও স্বজনদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ কমাতে, সরকারি উদ্যোগে সকল জেলা-উপজেলায় পূর্ণাঙ্গ রোগ নির্ণয় কেন্দ্র বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চাই। যেখানে সাধারণ মানুষ প্রাইভেটের গলাকাটা ৫ হাজার, ১০ হাজারের বদলে ৫০/১০০/২০০ টাকায় সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়ের সুযোগ পাবে, যেখান থেকে ৫০-৬০% কমিশন রিকমেন্ড করা ডাক্তার, কম্পাউন্ডার বা সরকারি হাসপাতাল কেন্দ্রিক দালাল সিন্ডিকেটের কাছে যাবে না! সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় সুচিকিৎসার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অবিচ্ছেদ্য অংশ, অথচ এই ক্ষেত্রে মানুষের ভোগান্তি বা অসহায়ত্বের অন্ত নেই। প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রমরমা ব্যবসা আর সংশ্লিষ্টদের কমিশন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় টেস্টের পাশাপাশি অনেক অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত টেস্টও করতে বলা হয় আর কোন সরকারি হাসপাতালের রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক কাজ করে না, ইচ্ছে করে নষ্ট বলা হয় বা বিকল করে রাখা হয়, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকে কোটি কোটি টাকায় কেনা মূল্যবান চিকিৎসা যন্ত্রপাতি। আর সেই সুযোগেই অযৌক্তিক মুনাফায় ফুলেফেঁপে ওঠে জেলা-উপজেলার ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা অবৈধ ও অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো কিংবা ঢাকার পপুলার, ইবনে সিনা, আসগর আলী, স্কয়ার, ল্যাবএইড প্রভৃতি। গোলাম রব্বানী ভাইয়ের ওয়াল থেকে।