বিশেষ প্রতিনিধিঃ গত ২৪ ঘন্টায় একই সময়ে অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে মোট ১৮ হাজার ৬৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনায় আক্রান্ত আরও এক হাজার ৭৭৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার নয় দশমিক ৪৮ শতাংশ। এ নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে পাঁচ লাখ ৫৯ হাজার ১৬৮ জনে দাঁড়াল।

আজ সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, গতকালের বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৫২৮টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৫৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছিল। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর একই সময়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৮ জনের। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দুই দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি।

আজ দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৬ জনের মধ্যে ২১ জন পুরুষ ও পাঁচ জন নারী। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে দুই জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, পাঁচ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ও ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৪৩২ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ১৩ হাজার ১২৭ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৪২ লাখ ৮৩ হাজার ২৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশে মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। আর মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৭৭ শতাংশ ও মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৩ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারিতে করোনার সংক্রমণ তুলনামূলক কম থাকলেও মার্চের শুরু থেকে তা আবারও বাড়তে শুরু করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ দৈনিক প্রত্যয় কে বলেন, ‘শনাক্ত ও মৃত্যু এভাবে বেড়ে যাওয়াটা অবশ্যই উদ্বেগজনক। করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে গিয়ে পুনরায় তা আবার বাড়া অবশ্যই উদ্বেগজনক। কেন তা বাড়ছে, সেটা বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের উচিত একটা কমিটি করা, যেটি দ্রুত এর কারণ বের করবে। কারণ বের করলে সমাধান করা যাবে।’

‘কারণ জানার পর সরকারের ঘোষণা করে দেওয়া উচিত যে, বাংলাদেশে উদ্বেগজনকভাবে করোনার সংক্রমণ আবার বাড়ছে। যাতে মানুষ সচেতন হয়, স্বাস্থ্যবিধি মানে। পাশাপাশি সরকারও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান উদ্যোগ নিতে পারবে’, বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় বলে জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। আর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর সংবাদ জানানো হয়।