ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার দৌলতখান উপজেলায় ভবানীপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে সামান্য বৃষ্টির হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে প্রায় ২০০ পরিবার ভোগান্তির ভিতরে পরে।
সামান্য বৃষ্টিতে তাদের চলাফেরা করার রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে যায়। এমনকি আশে পাশের বাড়িতে পানি ঢুকে ঘরে থাকা আসবাব পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। ভুক্তভোগীদের রান্না হতে শুরু করে অন্যান্য কাজ যথাযথ সময় করতে পারে না। তাদের ছোট ছেলে মেয়েরা একাধিকবার এই পানির ভিতরে পরে দূর্ঘটনায় শিকার হয় এমনকি মৃত্যুর মত ঘটনাও ঘটেছে কয়েকবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন পানি অপসারণের ব্যবস্থা ছিলো কিন্তু স্থানীয় কিছু দাপট লোক সেই পানি অপসারণের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। তাদেরকে একাধিকবার বললেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয় নি বরং হুমকির সম্মুখীন হতে হয়।
এতে বিপাকে পরে স্থানীয় এইসব লোকজন।
তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য দীর্ঘ ৫ বছরেরও অধিক তারা ভোগান্তির ভিতরে আছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এর উদ্যোগ নিলেও দীর্ঘ দিন ধরে পানি অপসারাণের ড্রেন সংস্কার দেখতে পায়নি এলাকার জনগন। ভুক্তভোগীরা (বাগান বাড়ি) মনে করেন, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, স্থানীয় ইউপি সদস্যের অবহেলায় এমনটা হয়েছে। তারা যথাযথ উদ্যোগ নিলেই ড্রেন সংস্কার এবং এর সমাধান হতো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরো এলাকায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে আছে। নোংরা পানি পেরিয়ে যাতায়াত করছে শত শত মানুষ। এতে তারা বিভিন্ন রোগজীবাণুতে আক্রান্ত হচ্ছে।
তাদের চলাফেরা করার রাস্তায় হাটু পরিমান পানি থাকলেও জীবনের তাগিদে পানি পার হয়ে মানুষ তার কর্মস্থলে যাচ্ছে এবং তাদের খাবার তৈরি করতে ভোগান্তির ভিতরে পরছে।
বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারনে দেখলে মনে হবে এটি একটি জলাশয় কিংবা দিঘি। পানি অপসারনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে তা তলিয়ে যায়।
এলাকাবাসী দুঃখ প্রকাশ করে জানায়, আমরা ভবানীপুর ইউনিয়নের নাগরিক হয়েও নানান সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।