নেত্রকোণা প্রতিনিধি: নেত্রকোণায়,মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হওয়ার ৫ মাস পর নাঈম হোসেন (১৪) নামের এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। ১৫ মার্চ সোমবার রাতে বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার করে শিশুটিকে দুর্গাপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া নাঈম নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের রামবাড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। সে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল। ২০২০ এর ১১ অক্টোবর আব্দুর রাজ্জাক ছেলেকে দেখতে মাদ্রাসা যান। কিন্তু মাদ্রাসায় ছেলেকে দেখতে না পেয়ে শিক্ষকদের কাছে জানতে চাইলে তারাও কিছু জানাতে পারেন না। পরে ছেলের সন্ধানে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কোন সন্ধান না পেয়ে নাঈমের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর ২০২০ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে আসামি করে দুর্গাপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর শিশুটির সন্ধানে মাঠে নামে দুর্গাপুর থানা পুলিশ। বিভিন্ন স্থানে খুঁজাখুঁজি করে একপর্যায়ে গতকাল সোমবার (১৫ মার্চ) রাতে ময়মনসিংহের একটি বাজার থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে উদ্ধার হওয়া পর শিশু নাঈম জানিয়েছে তাকে অপহরণ করা হয়নি। মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে ভালো লাগে না বলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে ছিল। কিন্তু এ ঘটনায় যদি তাকে মারধর করে বাড়ির লোকজন তাই এতদিন ভয়ে পরিবারের কাছে ফিরেনি শিশু নাঈম। এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মীর মাহবুবুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটি ওই মাদ্রাসায় পড়াকালে এক বাড়িতে লজিং থাকতো। একদিন টাকা চুরি করে ফেললে ওই বাড়ির লোকজন তাকে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেয়। যে কারণে লজ্জায় হয়তো কাউকে কিছু না বলে পালিয়ে যায়। শিশুর বাবা মামলাটি করলে আমরা আমলে নিয়ে তার খোঁজ করি। কিন্তু কোন ফোন না থাকায় আমরা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সোর্স লাগিয়ে তাকে খুঁজে পাই। তবে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলাটি মিথ্যা বলেও জানান তিনি।