বিশেষ প্রতিনিধিঃ আবার ফিরে এলো শোকাবহ সেই ২৫ ফেব্রুয়ারি। পূর্ণ হলো পিলখানা বিদ্রোহ আর হত্যাযজ্ঞের ১২ বছর। যা বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কলঙ্কময় দিন। আজ কান্নায় ভারি হয়ে উঠবে সেই সব পরিবার যারা হারিয়েছিলো তাদের স্বামী, সন্তান। দেশ হারিয়েছিলো স্বর্ণ তুল্য সেনাদের, যারা এক একজন ছিলো দেশের গর্বিত সম্পদ। পৃথিবীর ইতিহাসে আলোচিত এই বর্বর হত্যাযজ্ঞের বিচার কাজ শেষ হলেও চিহ্নিত করা হয়নি নেপথ্য নায়কদের। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার কয়েকদিন পরই ঢাকার পিলখানায় সশস্ত্র বিডিআর সদস্যরা বিদ্রোহ করলে তাদের তান্ডবে বিডিআর ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ সহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। সেদিন বিদ্রোহের নামে ৩৬ ঘন্টার ধ্বংসযজ্ঞে পিলখানায় শুধু লাশ আর লাশ। রক্ত আর রক্ত। পোড়া গাড়ি, ভাঙা গ্লাস, ঘাষের ভেতর তাজা গ্রেনেড এবং ধ্বংসের সব চিহ্ন। সেনা কর্মকর্তাদের কোয়ার্টারগুলোর তছনছ অবস্থা। বিভিন্ন স্থাপনায় জ্বালাও-পোড়াওয়ের ধোঁয়ায় ধূসরিত চিহ্ন। ড্রেনের ম্যানহোল থেকে ভেসে আসা লাশ আর রক্তের উৎকট গন্ধ। বিদ্রোহ পিলখানা থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল সারাদেশে বিডিআরের ৫৭টি ইউনিটে। মহাজোট সরকার গঠনের মাত্র দেড় মাসের মাথায় এমন নাটকীয় ঘটনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকার, জনগণ সবাইকে স্তম্ভিত করে তোলে। একজন মেজর জেনারেল, ব্রিগেডিয়ার কর্নেল, লে. কর্নেল, মেজরসহ ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার লোমহর্ষক সেই কাহিনী আজও আমাদের কাঁদায়। ইনশাআল্লাহ আজ হোক কিংবা কাল এই বিচার বাংলার মাটিতেই হবে বলে আমরা আশাবাদি। শোক হোক শক্তি,পিলখানায় নিহত সকল শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।