নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানী ঢাকার পুরাতন অংশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হলো লালবাগ থানার আওতাধীন অাজিমপুর এলাকা।পুরাতন ঢাকার যে কয়টি অংশ সবচেয়ে উন্নত এই এলাকাটি তার মধ্যে একটি।স্কুল কলেজ, হাট বাজার, আধুনিক শপিংমল সবই এই এলাকায় বিদ্যমান।আজিমপুর পুরাতন কবরস্থান হলো ঐতিহ্যগতভাবে সম্মুন্নত এবং বৃহৎ একটি কবরস্থান। এর একপাশে নিউ পল্টন, অারেক পাশে আজিমপুর সরকারী কলোনী, সামনে ভিকারুননিসা নূন স্কুল ( অাজিমপুর শাখা) এবং রায়হান স্কুল এন্ড কলেজ, পেছন দিকে অাজিমপুর নিউ মার্কেট এবং এর অদূরে অাজিমপুর বাসস্ট্যান্ড অবস্থিত।
এই অাজিমপুর কবরস্থানের সাথেই নির্মিত হয়েছে অত্যাধুনিক সুবিধা সম্পন্ন এবং চমৎকার স্থাপত্যশৈলীর “মেয়র হানিফ জামে মসজিদ “। মসজিদটি এতো সুন্দর ভাবে এবং এমন একটি স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে যা সত্যিই মনোমুগ্ধকর।
অসম্ভব সুন্দর এই মসজিদটি এই এলাকার সৌন্দর্য যেমন ফুটিয়ে তুলেছে তেমনি দিয়েছে এক নতুন মাত্রা। এর অাগে কবরস্থানের ভেতরে যে মসজিদটি ছিল তা ছিল অনুন্নত এবং সালাত অাদায়ে মুসল্লীগণের জন্য ব্যাপক অসুবিধার। ঔযুখানা এবং টয়লেটের পরিবেশ ছিল অনুন্নত এবং নোংরা।যা ছিল পবিত্রতা হাসিলের অন্তরায়।ফলে, প্রশাসন বিষয়টি ভাবতে বাধ্য হয়।এমন একটি মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয় যেখানে একসাথে অনেক মুসল্লী সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশে সালাত আদায়ে সক্ষম হয়।এই প্রকল্প সম্পূর্ণটি অাজ দৃশ্যমান।
প্রতিদিন অসংখ্য মুসল্লী বিশেষত ছুটির দিনগুলোতে এবং জুম্মাবারে কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্য নিয়ে এই কবরস্থানে গমন করেন।এত সংখ্যক মুসল্লী পূর্বের মসজিদটিতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। কবরস্থানে ভেতরের অংশেও ব্যাপক সমস্যা ছিল।
পুরো কবরস্থানে চলাচল ব্যবস্থা অাধুনিক করা হয়েছে।পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করা হয়েছে।পূর্বে কবরস্থানে মূল যাতায়াতের পথে মাঝখানে ফাঁকা রেখে রেখে ছাউনি দেয়া ছিল।তাই, অতিরিক্ত রোদ এবং বৃষ্টিতে জিয়ারতকারীরা অসুবিধার সম্মুখীন হতো।এখন মূল চলাচল রাস্তায় পুরোটা ছাউনী যুক্ত করে দেয়া হয়েছে।সব চলাচলের পথ মাটি উঁচু করে পাকা করে দেয়া হয়েছে। রাতে জিয়ারতকারীদের কথা মাথায় রেখে অপর্যাপ্ত আলোর টিউব লাইট সরিয়ে বর্তমানে ব্যবহার করা হচ্ছে স্পেশালাইজ্ড এলইডি লাইট।
মুসল্লীদের অসুবিধার দিকে দৃষ্টি দিয়ে আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানকে প্রশাসন যেভাবে আধুনিকায়ন করেছে তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য।।