বরিশাল সংবাদদাতাঃ মহামারী করোনাভাইরাস ১৯ এর দ্বিতীয় ধাপে পুরো বিশ্ব যখন করোনার ভয়াবহতায় থরথর। তার বাইরে নয় বাংলাদেশ।
প্রতিনিয়তই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। তাই সরকার জনগনের কথা চিন্তা করে দিতীয় ধাপে লগডাউন ঘোষণা প্রকাশ করেছে সরকার। আর লকডাউনের পরিস্থিতির জন্য সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী নিয়ে পরিবহন চলাচলের কথা থাকলেও, তা মানছেন না বরিশাল কীর্তন খোলা নদীর তীরে অবস্থিত চরকাউয়া পরিবহন মালিকরা । অভিযোগ আছে, পরিবহনে করোনাভাইরাস কভিড ১৯ কে পুঁজি করে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের রয়েছে পাহাড় সমান অভিযোগ ।
প্রতিদিন এ পরিবহন থেকে হাজার হাজার মানুষ কীর্তনখোলা নদী পার হয়ে বরিশাল শহরে আসা যাওয়া করে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে জন্য যাত্রী পরিবহনে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু এখানে যাত্রী পারাপারে জন্য চলাচলরত পরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে যাত্রী তো নেয়া হচ্ছেই না, প্রতিটি পরিবহনে গাদাগাদি করে যাত্রী ওঠানো হচ্ছে। এ কারণে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় যাত্রীদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
অপরদিকে পরিবহনে যাত্রীরা অভিযোগ করেন সীমিত পরিসরে যাত্রী নেয়া
হচ্ছেই না বরং আগে
জনপ্রতি যে ভাড়া ছিল তা এখন বাড়িয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বেশির ভাগ যাত্রীর মুখে নেই কোনো মাস্ক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবহন চলাচলের কথা থাকলেও প্রতিটি গাড়িতে আগেরমত যাত্রীবোঝাই করে চলছে । যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিংবা জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করছে না পরিবহন শ্রমিকরা ।
কাটাদিয়া থেকে আশা জার্তিদের অভিযোগ করেন স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পরিবহনে নিজেদের ইচ্ছেমতো যাত্রী ওঠাচ্ছেন। এমনকি জনপ্রতি ২৫ টাকার ভারা ৪০ টাকা গোমা থেকে আশা এক জার্তি বলেন গোমা থেকে চরকাউয়া ভাড়া ৩০ টাকা নেয়া হচ্ছে ৬০ টাকা। তালুকদার হাট থেকে ১০ টাকার ভাড়া নেয়া হচ্ছে ২৫ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে
সরকারের কোন কিছুই যেন তোয়াক্কা করার সময় নেই তাদের। এবিষয় পরিবহন শ্রমিকদের কাছে যানতে চাইলে তারা বলেন কিছু পুলিশের কয়েকজন অসাধু সদস্যদের ম্যানেজ করেই চলছে এই কর্মকান্ড। তাই বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছেন তারা।