বাউফল, (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান দ্রুত বিচার আইনসহ একাধিক মামলার আসামীদের সঙ্গে সেলফি ও ছবি তোলার স্বচিত্র খবর  একাধিক জাতীয় পত্রিকায় অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করণে প্রকাশিত হওয়ার পর আজ মঙ্গলবার এক সদস্য বিশিষ্ট একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুকিত হাসান এই তদন্ত করবেন। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পটুয়াখালীর নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ শহীদুল্লাহ এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন ।
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ বাউফল থানার ওসির ওই ঘটনায় বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করণে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার প্রেক্ষিতে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তকারি কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ ব্যাপারে তদন্তকারি কর্মকর্তা পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মুকিত হাসান খান সাংবাদিকদের জানান, ইতোমধ্যে তিনি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন এবং র্নিধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার চেষ্টা করবেন।
উল্লেখ, গত ৭ মার্চ বাউফল থানা চত্বরে আয়োজিত আনন্দ উৎসবের সময় দ্রুত বিচার আইনে দায়ের কৃত (মামলা নম্বর ২৯ তারিখ ২৫/০২/২০২১) একটি মামলার ৫ আসমীর সাথে বাউফল থানর ওসি সেলফি ও ছবি তুলেন। আসামীরা ওই দিন রাতে সেলফি ও ছবি নিজেদের ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করলে ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
এদিকে আসামীদের সাথে ওসির সেলফি ও ছবি  অনলাইনসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর ওই মামলার প্রধান আসামী ফয়েজ বিশ্বাস (২৫) ও ৯ নম্বর আসামী হাসান দফাদারকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশ নওমালা ইউনিয়নের বটকাজল গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।