বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের কাশিপুর বাজারে নিজস্ব রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে দোকানঘর তুলতে গেলে শিরিনা ও কামালসহ ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ এসে কাজে বাধা দেয় এবং তাদের কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায় দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। শিরিনা ও কামাল বাহিনীর লোকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং দেশিও অস্ত্রসস্ত্রসহ তাদের উপর হামলা করলে এতে জলিল গ্রুপের প্রায় ৭/৮ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
আহতদের মধ্যে নুরইসলাম, সুজন, সাইফুল, মস্তফা, মনির, নুরউদ্দীন কে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। জমির মালিক জলিল হাওলাদার বলেন, মঙ্গল বার ২রা মার্চ বেলা ১২টার দিকে বাউফল আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন কাশিপুর বাজারে সিরিনা, কামাল বাহিনীর ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ২য় পক্ষের মোঃ কাওসার মল্লিক সহ কয়েক জনের রেকর্ডীয় জমিতে (যার জে এল নং ১০৭ মৌজা কাশিপুর ১২১ খতিয়ান) দোকানঘর নির্মান করতে গেলে বলেন বাজারের জমিতে ঘর উঠাতে হলে আমাদেরকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। টাকা না দিলে ঘর উঠবে না। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সিরিন, কামাল, জসিম, জাফর, জুলহাস, ইমরান সহ সকলে দা, লাঠি ও ইটের খোয়া নিয়ে, জলিল ও কাওসার মল্লিকের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে জলিল হাওলাদার এর পক্ষের ৭/৮জন আহত হয়, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বর্তমানে কাশিপুর বাজার থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মুহুর্তের মধ্যে সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, কাশিপুর বাজারের জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ঝামেলা চলে আসছে, তবে এ বছর ভূরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রুবেল আহম্মেদ এর কাছে দুই পক্ষ মিলে রোয়েদাদ নামা দিয়েছে এবং ষোল আনা জমির এস এ রেকর্ড সূত্রে চার আনা কাওসার মল্লিকের পক্ষে রায় দেন। তবে কামাল গংরা রায় মানে না এটা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং উভয় পক্ষেরই ১০/১৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় পটুয়াখালী কোর্টে ৮জনকে আসাামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এলাকাবাসীর দাবী ঘটনার সাথে জারিতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।