বাবুগঞ্জ(বরিশাল) প্রতিনিধি ঃ বরিশালের প্রাচীনতম উপজেলা বাবুগঞ্জে কিন্তু একটি কেন্দ্রীয় কবরস্থান না থাকায় বিপাকে পরেছেন প্রায় ১লাখ ভূমিহীন ও ভাসমান বেদে পরিবার।
বাবুগঞ্জ থানা ১৯০৬ এবং বাবুগঞ্জ উপজেলা রুপান্তরিত হয় ১৯৮৩ সালে কিন্তু এখনো সময়ের দাবীতে উপজেলার কেন্দ্রীয় কবরস্থান। ভূমিহীন ও ভাসমান বেদে পরিবার প্রায় এক যুগ ধরেই কেন্দ্রীয় কবরস্থানের দাবী করে আসছেন তারা। কিন্তু বার বার দাবী করা হলেও এমপি-মন্ত্রী বা উপজেলা চেয়ারম্যান কেহই সু-ব্যবস্থা নেয়নি।
৯০ দশকের দিকে প্রায় ২শত ভাসমান বেদে পরিবার বাবুগঞ্জ পাড়ি জমায়। যা এখন উপজেলার সুগন্ধা-আরিয়াল খা নদী তীরবর্তী লামচর,সিংহেরকাঠী ও মীরগঞ্জ নদীতে প্রায় ৮শত বেদে পরিবার বসবাস করেন। এই ডিজিটাল সমৃদ্ধ বাংলাদেশে বেদের চোখে অশ্রু নিয়ে এখনও বলেন নদীতে জন্ম, নদীতেই বাস, নদীতেই ভাসে আমাদের লাশ।
অন্যদিকে উপজেলার মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ মানুষ হতদরিদ্র ও ভূমিহীন। উপজেলাটি নদী বেষ্টিত হওয়ায় অনেক পরিবারের শুধু ঘর বাড়ি ছাড়া কিছুই নেই সব নদের গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। আবার অনেকের রাক্ষুসী নদী বাড়ি ঘর কেড়ে নিয়ে নিঃস্ব করে দিয়েছেন। তাই হতদরিদ্র ও ভূমিহীনদের মৃত্যু হলে আত্মীয় স্বজন বা প্রতিবেশীর হাত পা ধরেই মৃত ব্যক্তিকে অন্যের জমিতে কবর দিতে হয়ে। কিন্তু বরবর্তী তা নিয়েও শুনতে হয় ভূমিহীন পরিবারকে বিভিন্ন সমালচনা ও বাজে কথা। তাই হতদরিদ্র ও ভূমিহীনদের একটাই দাবি বাবুগঞ্জ উপজেলায় তাদের জন্য একটি কেন্দ্রীয় কবরস্থানের।
এবিষয়ে বাবুগঞ্জ সহকারি কমিশনার ভূমি মিজানুর রহমান বলেন কেন্দ্রীয় কবরস্থান জন্য এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে কোন দানশীল ব্যক্তি যদি কবরস্থানের জন্য জমি দান করেন তাহলে এটির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। অন্যথায় সরকারি খাস জমিতে কবরস্থান করতে হলে ভূমি মন্ত্রনালয়ের অনুমাদন লাগবে।
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমীনুল ইসলাম বলেন কেন্দ্রীয় কবরস্থান বিষয় আমার কিছুই করার নাই। এটি উপজেলা পরিষদের বিষয় তবে উপজেলা পরিষদ চাইলে আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করবো।
বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল দুলাল বলেন কেন্দ্রীয় কবরস্থান বাবুগঞ্জের জন্য অতি জরুরী তবে এটা নিয়ে আমরা আগামী মাসে থেকে কাজ শুরু করবো। সরকারি জমিতে কেন্দ্রীয় কবরস্থান জন্য উপজেলার পরিষদের কোন নীতি মালা আছে কিনা তা আগামী মাসিক সভায় এ নিয়ে আলোচনা করা হবে।