করোনায় ঘরবন্দী জীবনে,মানব হয়ে গেছে অমানবিক,হয়ে গেছে বেপরোয়া, বাড়িয়ে দিয়েছে নির্যাতন।এ রকম দেশের মাঝে নিত্য বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যায় অবিচার।অথচ লাইব্রেরীতে হাজারো ন্যায় অন্যায় পরস্পর একত্বে বাস করে।তবুও তাদের নেই কোনো জুলুম অত্যাচার।সেই আত্মাগুলো যদি বিদ্রোহী হয়ে জাগ্রত হতো।তবে ধরায় মানবরূপী পশুরা তাদের অত্যাচারের কথা ভুলে যেতো।
আত্মার কথন
এম এ হালিম
—————————-
চার দেয়ালের আবদ্ধ ঘরে,
যৎসামান্য দিনরজনীতে হয়ে উঠেছো
আমানবিক।
তুমি হয়ে গেছো অস্থির,
হয়ে গেছো বেপরোয়া,
বাড়িয়ে দিয়েছো নির্যাতনের মাত্রা।
অথচ টেবিলে থরে থরে সাজানো পুস্তুকে
ন্যায়-অন্যায়,সংশয়-প্রত্যয়,ধৈর্য -শান্তির
সহিত হাজার কাল ধরে,
তবুও কেউ অমানবিক হয়ে উঠেনি।
কখনো অত্যাচারের কথা কল্পনাও করে নি।
এই শহরে,
প্রতিনিয়ত পাচ্ছে বৃদ্ধি,
অন্যায়, অবিচার আর চোরাকারবারি।
তাদের এই অসৎ পথে,
কাগজের কারাগারে বন্দি থাকা
বিদ্রোহী আত্মারা।
যদি কাগজের বেড়া ভেদ করিয়া
বিদ্রোহী হয়ে উঠিত।
তবে এই ধরায় এভাবে
দুঃসাহসে মাতিতে পারিত না।
জমাটবদ্ধ কঠিন বরফও
বাতাসে তাপে গলিয়া যায়,
এমনকি কঠিন পর্দাথ,
অগ্নির কাছে নত হয়।
মানব অন্তর অদ্য যদি
অন্যায়-অবিচার, সহ্য না করিয়া।
যদি দিত হুঙ্কার।
তবে,
অমানবিক চরিত্রের সেই
মানবরুপী পশু গুলো,
অবিচারের কথা ভুলিয়ে যেতো।
শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়