ভোলা প্রতিনিধিঃ ভিটা-মাটি হীন জীবনের অবসান ঘটছে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ২৮ টি পরিবারের। মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন,আশ্রয়হীন পরিবারকে পুর্নবাসন প্রকল্পের আওতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ওইসব পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব ঘর বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা প্রশাসন বোরহানউদ্দিন ২৮ টি পরিবারের মাঝে ঘর ও ক’ শ্রেণীর জমির কবুলিয়ত, খতিয়ান ও সনদপত্রসহ ফোল্ডার হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন,পৃথিবীর উন্নত দেশসমূহে এমন কোন নজির নেই যে বাংলাদেশের মতো ভূমিও গৃহহীনদের কে উভয় সুবিধা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন এই মুজিবের বাংলায় অবহেলায় থাকবেন না।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুর রহমান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নো য়াখালী জেলার চরপোড়াগাছা গ্রাম পরিদর্শন করে ভূমিহীন- গৃহহীন -অসহায় মানুষের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করেন। তিনি আরো জানান, ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য তাঁর উপজেলায় সরকারিভাবে ২৮টি ঘর নির্মাণ কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এর সাথে বিদ্যুৎ,সুপ্রেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে।
কুতুবা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ছাগলা গ্রামের সুবিধাভোগী মোছাম্মদ রাশেদা বেগম, হাজেরা খাতুন, ইউছুব, নুরেতাজ,জানু বেগম এবং কাচিয়া ইউনিয়নের ইসমাইল, পারুল বেগম খাদিজা বেগম পিয়ারা বেগম তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আগে আমাদের ঘর দুয়ার জমি কিছুই ছিল না। আমরা বৃষ্টিতে ভিজতাম। রোদে শুকাতাম। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ছায়া দিছে আল্লা ওনাকে আজীবন ছায়া দিবে। আমরা আজীবন তার পাশে আছি।
কুতুবা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান জুবায়ের, কাচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রব কাজী বলেন, যারা ঘর,ও জমি পেয়েছে তাদেরকে আমরা বেশি খুশি। তারা এই ঘর বরাদ্দের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,বাংলার সিংহ পুরুষ তোফায়েল আহমেদ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার তপন চৌধুরী, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এফএম নাজমুস সালেহীন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদ মিয়া, অফিসার ইনচার্জ মাজহারুল আমিন সহ সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।