বিশেষ প্রতিনিধিঃ সিলেট হলো ভুমিকম্পের রেডজোন। আর এই সিলেটের প্রান হলো টিলা গুলো। সব রকমের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর ভুমিকম্পের হাত থেকে সিলেট বাসীকে রক্ষা করছে ছোট বড় এসব টিলা। কিন্তু সিলেটের কতিপয় মহল এসব টিলা কেটে নষ্ট করছেন পরিবেশের ভারসাম্য। কিছু পাহাড়ের উপরের অংশ ন্যাড়া করে উজাড় করা হয়েছে।কয়েকটি পাহাড় কাটা হয়েছে খাড়াভাবে আর কিছু কাটা হচ্ছে উঁচু চূড়া থেকে।এভাবে হরেক রকম কায়দায় কাটা হচ্ছে সিলেট সদর উপজেলা পাঁচ নং টুলটিকর ইউনিয়ন বালুচর আল্ ইসলাহ্ জোনাকি, আলুরতল,আরামবাগ এলাকায়, পাঠানটুলার করের পাড়া,হাওলাদার পাড়া,জাহাঙ্গীর নগর, টিলা গাঁও,দুসকী সহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কাটা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত পরিবেশের ওপর এই আগ্রাসন চললেও কারও যেন মাথাব্যথা নেই। স্থানীয় লোকজন জানান, যেসব পাহাড়ের ওপরের অংশ পরিকল্পিতভাবে উজাড় করা হয়, বৃষ্টি হলে এসব পাহাড়ের মাটি পানির তোড়ে নিচের দিকে নেমে পড়ে। কয়েক ঘণ্টায় বিশাল পাহাড়ের বেশির ভাগ অংশ ভেঙে যায়। এতে পাহাড় কাটতে আর শ্রমিক নিয়োগ করতে খরচও কম হয়। অপরদিকে কিছু পাহাড় শ্রমিক দিয়ে খাড়াভাবে (উপর থেকে নিচে) কেটে ফেলা হচ্ছে। কেটে ফেলা মাটি ট্রাকবোঝাই করে ঠেলাগাড়ি বোঝাইকরে সরবরাহ করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। তারপর সমতল পাহাড়ি ভূমিতে গড়ে উঠছে ঘরবাড়ি। বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ অধিদপ্তর , প্রশাসনের নীরব ভূমিকার সুযোগ নিয়ে ভুমিদস্যুরা পাহাড়ে নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে। এতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে বেশি। বৃষ্টির পানিতে পাহাড়ি মাটি নেমে এসে রাস্তার পাশে নালা ভরাট হচ্ছে। সড়ক–উপসড়কের ওপর জমছে কাদা। তা ছাড়া পাহাড়ধসের ঘটনা বাড়ছে। অন্যান্য পাহাড়ের শক্ত ভীত দুর্বল হয়ে বিলীন হচ্ছে। উজাড় হচ্ছে গাছপালা, ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে পাহাড় কাটা বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা আছে। কিন্তু এর বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেই। এব্যাপারে সিলেটবাসী সহ সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন।