রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ এ যেন সরষের ভিতরেই ভুত! বন বিভাগের কর্মকর্তার যদি সম্মতি থাকে তবে সরকারি গাছ কেটে উজাড় করতে আপত্তি থাকার কথা নয়। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ বিটের কর্মকর্তা মো: শরীফ আহম্মেদ এর যোগসাজশে সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে মো: হানিফ সিকদার (৪৫) এর বিরুদ্ধে।

অনুসন্ধান করতে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরমোন্তাজ ইউনিয়নের ০৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ হানিফ সিকদার দীর্ঘদিন ধরেই বন কর্মকর্তা মোঃ শরীফ আহম্মেদ এর সাথে আঁতাতের মাধ্যমে একেরপর এক সরকারি গাছ কেটে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। ভেরি বাদ  অথবা সংরক্ষিত বনাঞ্চল যেখানেই হোক গাছ কাটার প্রয়োজন হলে হানিফের শরণাপন্ন হলেই যথেষ্ট বলে জানায় একাধিক ব্যক্তি। তার এমন ক্ষমতায় বিস্মিত হয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে ডাকেন ফরেস্ট হানিফ নামে।

গত ২৭ সে অক্টবর রাতে হানিফের বাসার সামনে থেকে রাতের আধারে একটি পাহাড়ি বাবলা গাছ কেটে তারই পুকুরে ডুবিয়ে লুকানোর সময় স্থানীয় এলাকাবাসীর চোখে পরলে চরমোন্তাজ বিট অফিসে খবর দেয়। কিন্তু তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থলে না এসে কিছু দিন পরে গাছগুলো হানিফের পুকুর থেকে উদ্ধার করে তিনজন বন কর্মকর্তা। এসময়ে উপস্থিত উৎসুক জনতা শরীফের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার একাধিক অভিযোগ তোলেন যেগুলো পরবর্তীতে হানিফের মাধ্যমে বিক্রি করছেন বলে জানাযায়। উদ্ধারকৃত গাছের ব্যাপারে মো: শাহ আলী (৩০) বলেন, আগের রাতে তার উপস্থিতিতেই গাছটি ৫০০০ হাজার টাকায় বিক্রির চুক্তি করেন বন কর্মকর্তা শরীফ।পরে আরো একটি গাছ পার্শ্ববতী ডোবায় লুকানো আছে এমন তথ্য দিলে প্রথমে গড়িমসি করলেও পরে চাপের মুখে উদ্ধার করতে বাধ্য হন।

এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ভাবে বন কর্মকর্তা শরীফ আহম্মেদ এর কাছে পুরো ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আঁতাতের ব্যাপারটি অস্বীকার করেন। উদ্ধারকৃত প্রথম গাছের ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সাক্ষী থাকার পরেও রহস্যজনক কারণে হানিফের সাফাই গেয়ে বলেন কে বা কাহারা গাছটি কেটে গতকাল এখানে রেখে যায়। আর পরে গাছটি উদ্ধার করা হয়েছে সেটি হানিফের জিম্মায় রেখে গিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন। পরে গাছগুলো এখন বিট অফিসে নেওয়া হবে বলে জানান।

চরমোন্তাজ বিট কর্মকর্তা অমিত বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হানিফের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তবে এমন কিছু ঘটে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।