কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের বড় ভাই মরহুম আবদুল গণির ছেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যোদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রফিকুল আলম রতনের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
৬ই নভেম্বর ২০১৩ সালের আজকের এই দিনে তিনি ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছিলেন। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম রতন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন।
তিনি দীর্ঘদিন মিঠামইন প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ কৃষকলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। এবং কিশোরগঞ্জ জেলা উদীচীর সংগঠনের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি দৈনিক আজকের কাগজের সহকারী সম্পাদক, পাক্ষিক মুক্তিবার্তার সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১১.৩০ টার সময়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম রতনের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিঠামইন প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মিঠামইন প্রেসক্লাব সভাপতি বিজয় কর রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন,  উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ আছিয়া আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বৈষ্ণব,  বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আলম মানিক, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, সদর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শরীফ কামাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুখলেছুর রহমান ভুইয়া, প্রচার সম্পাদক মাঈন উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো.  শাহজাহান মিয়া, সাংবাদিক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন হারুন, সাংবাদিক এমএ মহসিন, সাংবাদিক সুজিত দাস, যুবলীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান উল্লাহ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাচ্চু মিয়া, যুবলীগ নেতা লিয়াকত আলী মীর প্রমুখ।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক (এমপি) তার চাচাতো বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রফিকুল আলম রতন সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আমার বড় ভাইয়ের আজ ৭ম মৃত্যু বার্ষিকী। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও বুদ্ধিমান মানুষ ছিলেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ওনার সম্পর্কে বলতে গেলে অনেক কিছুই বলতে হয়। সর্বদা স্পষ্টভাষী  ছিলেন। কোন হিংসা বিদ্বেষ ছিল না। আমার খুব সম্মানীয় ব্যক্তি ছিলেন। আমি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ওনার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গিয়েছেন।