নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বর্তমানে জাতিসংঘের মহাসচিব এবং বিশ্বব্যাংক এর প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে  সফর করছেন রোহিংঙ্গা বিষয়টি কেন্দ্র করে।আর দেশের মানুষ আশায়  বুক বাঁধছে  সহোযগিতা পাবে বলে।প্রথমত,জাতিসংঘ মহাসচিব বললেন, মিয়ানমারকে চাপ অব্যাহত আছে। অথচ কোন দেশের উপর চাপ দিতে হলে সেই দেশের বিষয়ে কিছু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হয় বা হুশিয়ারী প্রদান করতে হয়। কিন্তু কি এমন ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছেন সে বিষয় লক্ষ্য করলে দেখা যায়,  মিয়ানমার এর সাথে জাতিসংঘের সম্পর্ক আগের মতোই আছে যেন তাদের চাপ শুধু মুখেই সীমাবদ্ধ।  দ্বিতীয়ত হচ্ছে ,এই সমস্যাটি মিয়ানমারের আরাকানের কিন্তু লক্ষ্য করা যায়  অধিকাংশ বিশ্ব নেতারাই আসেন বাংলাদেশে । তারা কেউ আরাকানে যেতে আগ্রহী নন ।
কিন্তু, এর মধ্যে যে বড় ধরনের তামশা আছে তা কি কেউ লক্ষ্য করেছে?
এই সমস্যাটি ১৯৫০ সালে সৃষ্ট।এর আগেও নানা ইস্যুতে চীনের আপত্তি থাকার পরও তারা অন্যান্য দেশের বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং নিজেদের উদ্দেশ্য সফল করেছে।তাহলে,এই মিয়ানমারের বেলায় তারা এত চুপ কেন?বিশ্বব্যাংক এর প্রেসিডেন্ট মহাশয় জানালেন, রোহিংঙ্গা সমস্যাবলী দুই ভাবে সমাধান করা যায়। প্রথমত, তাদের জীবন উন্নত করে এবং মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ স্থান তৈরি করে। তাদের জীবন উন্নত করার জন্য যেই খরচ তা তো বিশ্বব্যাংক থেকেই পাওয়ার কথা !কিন্তু মহাশয় এই বিষয়ে কিছুই বলেননি। শুধু বললেন,রোহিংঙ্গাদের জন্য তাদের বরাদ্দের কথা। সেই টাকা আদৌ পাওয়া গেছে কি না সেটি দেখার বিষয়। আর আরাকানে নিরাপদ স্থান তৈরি করতে হলে তো সেই দেশেই তাদের আগে সফর করার দরকার ছিল। তাহলে পৃথিবীর মানুষের কল্যাণ হচ্ছে না কি মিথ্যে শো ডাউন? এরকম প্রশ্ন যেন থেকেই যায় ।