লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: নির্বাচনী আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে লক্ষ্মীপুর ২ সংসদী আসনে। জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হতে চান- শেখ ফায়িজ উল্লাহ্ শিপন।

গত ৩ মার্চ ঘোষণা করা হয় লক্ষ্মীপুর ২ উপনির্বাচনের নির্বাচনী তফসিল। এই উপনির্বাচনে জাপার চূড়ান্ত মনোনয়ন নিয়ে লাঙ্গল প্রতীকে সাংসদ পদে লড়তে চান জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য- শেখ ফায়িজ উল্লাহ শিপন।
একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে শিপনের সুনাম ছড়িয়ে আছে তৃনমুল-কেন্দ্র পর্যন্ত। সেই অর্জিত সুনামকে পুঁজি করে এই নির্বাচনে মহাজোট থেকে সাংসদ নির্বাচিত হবেন বলে অনেকটাই আশাবাদী জাপার – শিপন।
জনদরদী এই নেতা এরই মধ্যে সংগ্ৰহ করেছেন লাঙ্গল প্রতীকের মনোনয়ন ফরম।
 রাজনৈতিক সূত্রে জানা যায়, শেখ ফায়িজ উল্লাহ শিপন বর্তমানে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য।
তাছাড়াও করোনা বিপর্যয়ের সময়ে জনগণের সেবায় ত্রান ও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্ৰী নিয়ে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে – শেখ ফায়িজ উল্লাহ্ শিপনকে।
উল্লেখ্য যে, ২০১৪ সালে মহাজোট থেকে মোহাম্মদ নোমান লাঙ্গল প্রতীকে সাংসদ নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও হঠাৎ ই নোমানের গল্পের ঘটে ছন্দপতন।নিজ ইচ্ছায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান নোমান। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের সমর্থন ও জনগণের ভোটে সাংসদ নির্বাচিত হন কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল।
তবে আশার কথা হচ্ছে, লক্ষ্মীপুর ২ আসনটিতে বরাবরই মহাজোট মনোনীত প্রার্থী সাংসদ পদে লড়েন-ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবারও এই আসনে মহাজোট থেকে কাউকে প্রার্থী হিসেবে দেওয়া হবে বলে আশা করছেন – লক্ষ্মীপুর ২ সংসদীয় আসনের জনসাধারণ।
মহাজোট থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার এই আলোচনায় শীর্ষে আছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য – শেখ ফায়িজ উল্লাহ শিপন।
গত ২২ ফ্রেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ সচিবালয় লেজিসলেটিভ সাপোর্ট উইং, আইন শাখা-২ কর্তৃক প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মানব পাচারের দায়ে কুয়েতে সাজা প্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর ২ সংসদীয় আসনের সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সাংসদ পদ বাতিল এবং আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।