অদ্ভুত ছেলে

সুরঞ্জিত রায়।

অদ্ভুত ছেলে!
ঝাঁপ দেয় জলে।
দেয় গড়াগড়ি ধূলায়;
ধান ঝাড়ে কুলায়।
ঘোড়ার পিঠে ওঠে;
হাতির পিছে ছোটে।
সূর্যকে বলে;
কাছে আয় চলে।
শুনে মেঘের ডাক;
বলে চুপচাপ‌ থাক।
হাসে প্রাণ খুলে;
কাঁদেনা সে ভুলে।
বোঝা তোলে ঘাড়ে;
কুঠারে কাঠ ফাড়ে।
সাগরের মাঝে;
ভাসে জাহাজে।
গাছে ঠ্যাং তুলে;
থাকে সে ঝুলে।

হাসুর কান্না

মোবারক হোসেন

কাদছে হাসু মায়ের পিছু

গামছে তাহার দেহ

কি কারণে করছে এমন

জানেনা তা কেহ।

চকলেট এল বিস্কুট এল

জানা গেল কারন

খুকির সাথে খেলতে নাকি

মা করেছে বারণ। 

আলোকে ঈর্ষা 

শ্যামল কুমার সরকার

আলোর মহান উজ্জ্বলতায় চায়না তাকাতে কেউ;

তোমার কর্মে কেকা ধ্বনিটা ওদের কর্ণে ঘেউ!

জীবের ধর্ম এই-

জীবন্ত হলে তোমার জীবনে বিষম ঘটাবেই!

তুমিও থাকবে নীরবে সতত; কবি যে চায় রে তাই-

আলোক ছড়াবে; যে যাই ভাবুক- আলোকিত হবেই।

ধন্য তুমি হে –

তোমার উপরে চক্ষু রাখতে চায়না  তবু তো  ‘সূর্য’ বলে।

         মা 

সন্তোষ চন্দ্র রায় 

মা গো তোমার কথা মনে পরে 

ফিরবো তোমার কোলে বলে, 

ভেবে ভেবে দিন যায় যে চলে 

মা গো তোমাই পাবো বলে।

জানো গো মা তোমার ছেলে 

একা একা কেদে মরে। 

তোমার কোলে ফিরবো বলে 

দেখি না মা তোমাই অনেক দিন ধরে। 

মন যে চাই শুধু তোমার কোলে যেতে। 

তোমার ভালোবাসা ঘিরে আমার এই বুকে, 

রেখেছো এই হৃদয় পিঞ্জরে। 

মা গো তুমি আসবে বলে।