রংপুর প্রতিনিধিঃ রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.নাজমুল আহসান কলিমউল্লা’র বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুনীর্তি ও স্বেচ্ছাচারিতার স্বেতপত্র ৭৯০ পৃষ্ঠার প্রথম খন্ডে ১০৭ টি দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ তুলে শনিবার ১৩ মার্চ সকাল ১১ টায় সংবাদ সম্মেলন করেন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রংপুর।

মুল বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড.মতিউর রহমান, আহবায়ক -অধিকার সুরক্ষা পরিষদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রংপুর। তিনি বলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.নাজমুল আহসান অনিয়ম-দুনীর্তি ও স্বেকলিমউল্লা’রচ্ছাচারিতার উপাচার্যের স্বেতপত্র(প্রথম খন্ড) প্রকাশ করছি এজন্য যে যাতে জনগণের টাকায় পরিচালিত এই বিশ্ববিদ্যালয় সঠিক ভাবে চলে এবং একজন স্বেচ্ছাচারি ও দুর্নীতিপরায়ন না হয়ে প্রকৃত অভিভাবক হয়ে শিক্ষার দ্যূতি ছড়িয়ে দেয় দেশ-দেশান্তরে। আমরা জানি অনিয়ম দুর্নীতি প্রতিরোধ গনমাধ্যম সহায়ক ভুমিকা পালন করে। উপাচার্য প্রফেসর ড.নাজমুল আহসান কলিমউল্লা ২০১৭ সালের ১৪ জুন যোগদান করার পর ক্যাম্পাসে ধারাবাহিক অনুপস্থিত থেকে ঢাকার লিয়াজো অফিসে বসে ব্যাপকভাবে একাডেমি, প্রশাসনিক, ও আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি করেন সংঘবদ্ধভাবে । বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে সংঘবদ্ধ দুর্নীতি -অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা করছেন ড.নাজমুল আহসান কলিমউল্লা। তিনি আরো বলেন, নিয়োগ দুর্নীতি, আর্থিক দুর্নীতি, একাডেমিক দুর্নীতি, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মান কেজেও দুর্নীতি করেছেন, ড.নাজমুল আহসান কলিমউল্লা’র দুর্নীতির মহাচিত্রের কিছু খন্ডচিত্র উল্লেখ করেন।মুল শ্বেতপত্রে এসবের প্রমাণিক দলিলসহ বিস্তারিত বিবরণী রয়েছে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে সরকারের নিকট আহ্বান জানাচ্ছি ড.নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে দ্রুত অপসারন করে তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হোক। যাতে কোন উপাচার্য এমন অপকর্ম করতে না পারেন।শুধু তাই নয়, ড.নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র সংঘবদ্ধ দুর্নীতির সহযোগীদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে, এই উপাচার্যের আমলের সকল নিয়োগ,আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে বলে দাবী জানান প্রফেসর ড.মতিউর রহমান, আহবায়ক, অধিকার সুরক্ষা পরিষদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রংপুর।