কাপ্তাই প্রতিনিধি(রাঙ্গামাটি):বিদ্যূৎ উন্নয়ন বোর্ড,প্রধান কার্যালয়,রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলাধীন ২নং রাইখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যূৎ ঘাটতি দূরীকরণ, ভোল্টেজ স্বলপতা দূরীকরণ এবং নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের লক্ষে প্রকল্প বাস্তবায়নে এক দরপত্র আহবান করা হয়।।উক্ত দরপত্র আহবানে প্রাপ্ত আবেদনগুলো যাচাই বাছাই করে নিয়মনীতি অনুসরণ করে জনাব রুহুল আমিন ঠিকাদার এর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অনমোদন পায়।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে ঠিকাদার জনাব রুহুর আমিন পিডিবি’র যাবতীয় ফরম্যালিটি (আনুষ্ঠানিকতা) সম্পন্ন করে প্রকল্প কাজ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করে। প্রায় এক বছরেরও অধিক সময় ধরে প্রকল্প কাজ পরিচালনা করছেন যা কিনা বর্তমানেও চলমান। ঠিকাদার জনাব রুহুল আমিন,তাঁর প্রাপ্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে একজন সাব কন্ট্র্যাকটার জন্াব জুয়েলকে নিয়োজিত করেন।এই সাব কন্ট্র্যাকটার নিজের সাথে ফিল্ডে সার্বক্ষনিক কাজে সহযোগিতা করার জন্য বাবু নিউটন চাকমাকে নিয়োগ দেন।সাব কন্ট্র্যাকটার সাহেব নিউটন চাকমার তত্ত¡াবধানে কখনো ৮/১০/১২ জন ইলেকট্রিক্যাল টেকনিশিয়ান দ্বারা প্রকল্প কাজ পরিচালনা করে আসছেন।দীর্ঘ প্রায় ১ বছরেরও বেশী সময় পরে প্রকল্পটির প্রায়ই সম্পন্ন হওয়ায় আশার আলো দেখে অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ।৩৩০০০ ভোল্টেজকে বিভক্ত করে ১১০০০ ভোল্টেজে ভাগ করে নতুন খুঁটি(পিলার),নতুন ক্যাবল বসানো/লাগানো হয়।উল্লেখ্য ১১০০০ ভোল্টেজের জন্য উন্নত মানসম্পন্ন তার ক্যাবলের ভিতর বিদ্যমান।সুউচ্চ খুঁটি বসিয়ে ১১০০০ ভোল্টেজের জন্য ক্যাবল সংযোগের কাজ শেষ করে ট্রান্সফরমার বসানোর উদ্দেশ্যে বিদ্যূৎ সংযোগ চালু করতে সার্ভিস তার লাগানো হয়।সাথে সাথে পুরানো সার্ভিস তার অপসারণ করার কাজও সমাপ্তির পথে/অব্যাহত আছে। ফিল্ডে অবস্থানপূর্বক সার্বক্ষনিক কাজ দেখাশুনা করছেন বাবু নিউটন চাকমা,আর কাজের অগ্রগতি তদারকি করেন সাব কন্ট্র্যাকটার(জনাব জুয়েল)।মোটামোটি সকল কাজ সম্পন্ন করে ২নং রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদের সন্নিকটে রাইখালী(কাজীপাড়া)মুখে ৫০০কেবি ধারনক্ষমতার ট্রান্সফরমারটি অপসারন করে ২৫০ কেবি ধারনক্ষমতার ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছে এবং এ ট্রান্সফরমার থেকে কাজীপাড়া,রাইখালী রিফিউজি পাড়া,রাইখালী বাজার,মাঝিপাড়া ও লেমুছড়ি পাড়াতে বিদ্র্যূৎ সরবরাহ হচ্ছে তবে ২২০ ভোল্টের আলো নিশ্চিত হয়নি রাইখালী রিফিউজি পাড়ায় যদিও ২৫০ কেবি ধারনক্ষমতার ট্রান্সফরমার স্থাপনের লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় লেমুছড়িতে ১১০০০ ভোল্টেজের জন্য খুঁটি, ক্যাবল স্থাপনের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন,এতদসতেও¡ ট্রান্সফরমার স্থাপন কখন কবে তা অনিশ্চিত। লেমুছড়িতে সার্ভিৃস তার বসানোসহ ট্রান্সফরমার স্থাপন করামাত্রই উক্ত গ্রাম এবং রাইখালী রিফিউজি পাড়ায় ২২০ ভোল্ট নিশ্চিত হবে বলে এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন ফিল্ড সুপারভাইজার।২য় ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছে রাইখালী কৃষি র্ফাম এলাকায় তাও ২৫০ কেবি ধারনক্ষমতার। এ ট্রান্সফরমার হতে ২২০ ভোল্টের আলো নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি লোডশেডিং এর সমস্যা থেকে মুক্তি মিলেছে এবং এ ট্রান্সফরমার হতেই নারানগিরি মুখ,১নং পাড়া এবং ২নং পাড়ায় বিদ্যূৎ সরবরাহ করা হচ্ছে তবে নারানগিরি ১নং ও ২ নং এলাকায় ভোল্টেজ স্বল্পতা রয়ে গেছে।এখানে বলার অপেক্ষা রাখে না যে,নারানগিরি মুখ,১নং পাড়াএবং ২নং পাড়ায় বিদ্যূৎ সরবরাহ স্বাভাবিকীকরণে এবং যথাযথ ভোল্টেজ নিশ্চিতকরনের নিমিত্তে ১১০০০ ভোল্টেজ সম্বলিত ক্যাবল,খুঁটি,সার্ভিস তার সবগুলো কাজই সম্পন্ন হয় এবং নারানগিরি পশু হাসপাতালের সামনে ট্রান্সফরমার রসানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন কিন্তু কবে নাগাদ ট্রান্সফরমার স্থাপন করা হবে তা অনিশ্চিত আর এ জায়গায় ট্রান্সফরমার স্থাপিত হওয়ামাত্রই ২২০ ভোল্টের আলো নিশ্চিত হবে বলে সুপারভাইজার জানিয়েছেন এ প্রতিনিধিকে। প্রসঙ্গত এ ট্রান্সফরমার এর ধারনক্ষমতার এলাকাটা অনেক সম্প্রসারিত তাই সকলের প্রত্যাশা ট্রান্সফরমার স্থ্াপন প্রক্রিয়ায় যেন সময়ক্ষেপন না হয়।

বিদ্যূৎ উন্নয়ন বোর্ড,হেড অফিস,রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার অধীনে প্রাপ্ত এ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন তথা সম্প্রসারিত এলাকাগুলো আকারে ব্যাপক। পূর্বের ৩৩০০০ ভোল্টেজকে বিভাজিত করে ১১০০০ ভোল্টেজে ভাগ করে বেশ কিছু ট্রান্সফরমার স্থ্পানের পরিকল্পনা এর আওতায় এনে প্রকল্প কাজ এতটুকু অগ্রগামী। উল্লেখ্য, এ প্রকল্প কাজ বাস্তবায়নের পূর্বে তৎপূর্বে স্থাপিত ইউনিয়নে পরিষদের সন্নিকটে কেবলমাত্র ৫০০ কেবি ধারনক্ষমতাবিশিষ্ট ট্রান্সফরমার হতেই উপরোল্লিখিত এলাকাগুলোতে বিদ্যূৎ সরবরাহ হতো যার ফলশ্রæতিতে লোড শেডিং,স্বল্প ভোল্টেজ নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার ছিল।তারই কারনে সৃষ্ট সংকট দুরীকরণে এত ব্যাপক এবং বিস্তৃত পরিকল্পনা প্রনয়ণ এবং যার জন্য উপরোক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমোদন।

এ প্রকল্পের আওতাধীন ১১০০০ ভোল্টেজের জন্য নতুন খুঁটি,ক্যাবল,সার্ভিস তার লাগানো প্রক্রিয়া এখনো চলমান এবং দৃশ্যমান।আরো উল্লেথ্য যে,উক্ত প্রকল্পের আওতাধীন এই ২নং রাইখালী ইউনিয়নের আরো কিছ’ এলাকা যেমন বড়জিরি,হাফছড়ি মুখ,হাফছড়ি ভিতরের পাড়া,উল্টাপাড়া এবং সর্বশেষে বালামছড়িতে সম্পূর্ণ নতুন সংযোগের আওতায় ১১০০০ ভোল্টেজের জন্য খুটি স্থাপন এবং ক্যাবল সংযোগ করার কাজ সমাপ্ত।বলার অপেক্ষা রাখে না যে,এ সকল এলাকায় ইতিপূর্বে কোন রকম বিদ্র্যূৎ সংযোগ/বিদ্যূৎ সরবরাহ ছিল না।কাজেই বলা চলে এই প্রকল্পের আওতায় এই সকল কার্যাদি দ¦ারা বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার চিত্র সুস্পষ্ট।যেহেতু উপরোক্ত এলাকাগুলোতে ১১০০০ ভোল্টেজের জন্য খুঁটি বসানো এবং ক্যাবল সংযোগ সমাপ্ত সেহেতু ট্রান্সফরমার স্থাপন আর তার সাথে সংযোগের জন্য সার্ভিস তার লাগনোর কাজ সম্পন্ন হলেই বিদ্যূৎ সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি উক্ত এলাকাগুলো বৈদ্যূতিক আলোর আলোতে আলোকিত হবে।উল্লেখ্য এসব নতুন বিদ্যূৎ সংযোগের আওতাধীন এলাকাগুলোতে ৪-৫ টি ২৫০ কেবি ধারনক্ষমতার ট্রান্সফরমার বসানোর পরিকল্পনা আছে বলে নিশ্চিত করেছেন এ প্রতিবেদককে বাবু নিউটন চাকমা(প্রকল্প ফিল্ড সুপারবাইজার)।আশা করা হচ্ছে খুব দ্রæত সময়ে প্রকল্প কাজ সমাপ্ত করা হবে।২নং রাইখালী ইউনিয়নের সর্বসাধারণকে বিদ্যূৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরনে প্রকল্প কাজের এমন অগ্রগতিতে উক্ত ইউনিয়নের মানুষ সত্যিই আজ খুশী।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যের বাস্তব প্রতিফলন অত্র ইউনিয়নের জনগণের সামনে প্রতীয়মান যা কিনা গর্বের আর অহংকারের।নিঃসন্দেহে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর এই অবদান প্রশংসার দাবীদার।এই ইউনিয়নের মানুষ তাদের দীর্ঘদিনের বৈদ্যূতিক সমস্যা থেকে মুক্তি লাভের সুসংবাদে নিদারুন খুশি। নানা পেশার মানুষের সবারই মনে আশা,থাকবে না বিদ্যূৎের ঘন ঘন লোডশেডিং এবং ভোল্টেজ স্বল্পতা।তাই এক বাক্যে অত্র ২নং রাইখালী ইউনিয়নের জনগণ এ জনকল্যানমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের সুফল ভোগের সুযোগ প্রদানের জন্য জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহোদয়কে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।ধাপে ধাপে সকল কার্যাদি সম্পন্ন করে ট্রান্সফরমার বসানোর মাধ্যমেই অত্র ইউনিয়নে শতভাগ বিদ্যূৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে বলেই সর্বসাধারণ প্রত্যাশা করে। প্রকল্পের এতটুকু অগ্রগতিতে বিদ্যূৎের সংকট থেকে এতটুক মুক্তিতে সর্বসাধারণের মনে আনেেন্দর যেন সীমা নেই।

বাংলাদেশের প্রত্যেক প্রান্তে বিদ্যূৎ সরবরাহ পৌঁছে দিয়ে শতভাগ বিদ্যূৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ বর্তমান সরকারের যে লক্ষ্য তা সফল হোক এটাই উক্ত ইউনিয়নবাসীর প্রত্যাশা।